শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

নকল ভেজাল ওষুধ

অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা দিন

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে ওষুধ রপ্তানিতে সম্মানজনক স্থানে। বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি হয় এ দেশের ওষুধ। মানের প্রশ্নে যারা আপসহীন সেই ইউরোপ-আমেরিকাতেও ওষুধ রপ্তানির কৃতিত্ব দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু নকল ভেজাল মানহীন ওষুধ তৈরিতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। একশ্রেণির লোভী শকুন এসবের সঙ্গে জড়িত। কিশোরগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরীতে ওষুধ তৈরি করছে ইস্ট বেঙ্গল ইউনানি। এটি ইউনানি বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আয়ুর্বেদিক ওষুধের আড়ালে ওই কারখানায় দিনের পর দিন তৈরি হয়েছে গ্যাস্ট্রিকসহ বিভিন্ন রোগের নকল ওষুধ। খবর পেয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর অভিযান চালালে পালিয়ে যায় ভেজাল ওষুধ তৈরির সঙ্গে জড়িতরা। কারখানাটি সিলগালা করেছে অধিদফতর। ইউনানি ওষুধ উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স রয়েছে ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের। নীতিমালা অনুসরণ করে ওষুধ উৎপাদনের কথা তাদের। তা না করে বৈধ কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন করছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এসব কারখানায় কিডনি, ক্যান্সার থেকে শুরু করে সব ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধির নকল ওষুধ তৈরি হয়। আয়ুর্বেদিক কারখানার অনুমোদন থাকায় সন্দেহ করছে না প্রশাসন কিংবা সাধারণ মানুষ। জনবল সংকটের কারণে এসব কারখানায় নিয়মিত তদারকি করতে পারে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মাঝে মাঝে পরিচালিত অভিযানে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়। ওষুধ যেহেতু মানুষের জীবন বাঁচায় সেহেতু নকল ওষুধ তৈরি করা আর মানুষ হত্যার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। কিন্তু সব সম্ভবের এই দেশে নকল ওষুধের সিন্ডিকেটের জোরে অল্প সময়ের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়াচ্ছে তারা। নকল ভেজাল ওষুধ বন্ধ করতে হলে ইউনানি আয়ুর্বেদ নামের ওষুধ কারখানার ওপর নজর রাখতে হবে। নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি জামিন অযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করে সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থাও করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর