রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

খাল উদ্ধারে ভেলকিবাজি

অর্থের অপচয় নয় সঠিক পথে হাঁটুন

খাল উদ্ধার নিয়ে ভেলকিবাজির খেল চলছে তো চলছেই। খাল উদ্ধার হয় খাতাপত্রে। বাহবাও মেলে এ কৃতিত্বের জন্য। কিন্তু দখলদাররা এসব উচ্ছেদকে পাত্তা দিতে চান না। অভিযান শেষেই আবারও ঝাঁপিয়ে পড়েন দখলবাজরা। রাজনৈতিক টাউটদের যোগসাজশে তারা তাদের খালখেকো কর্মকান্ড অব্যাহত রাখেন। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৬টি খাল বুঝে নেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়  রয়েছে কাঁটাসুর, হাজারীবাগ, ইব্রাহিমপুর, কল্যাণপুর, আবদুল্লাহপুর, রামচন্দ্রপুর, সুতিভোলা, বাউনিয়া, দ্বিগুণ, দিয়াবাড়ী, রায়েরবাজার, বাইশটেকি ও শাহজাহানপুর খাল। আর দক্ষিণ এলাকায় রয়েছে জিরানী, মান্ডা, মেরাদিয়া, গজারিয়া, কসাইবাড়ী, শাহজাদপুর, ডুমনি, শ্যামপুর, বোয়ালিয়া, রামপুরা, ধোলাইখাল, গোবিন্দপুর, সেগুনবাগিচা ও খিলগাঁও-বাসাবো খাল। এসব খালের মধ্যে একটিও উদ্ধার করতে পারেনি দুই সিটি করপোরেশন। যদিও মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সংস্থা দুটি। সিটি করপোরেশনের হিসাবে, রাজধানীতে খাল রয়েছে ৬৯টি। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসা সিটি করপোরেশনের কাছে ২৬টি খাল হস্তান্তরের পর চার বছর অতিক্রম হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত একটি খালও উদ্ধার করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। বিভিন্ন সময় লোকদেখানো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন মেয়ররা। বিশেষজ্ঞদের মতে, খালগুলো উদ্ধার করতে হলে আগে জরিপ ও সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। এরপর উদ্ধার করে খালের পাড়ে হাঁটার পথসহ করতে হবে সৌন্দর্যবর্ধন। তাহলেই খালের উদ্ধার টেকসই হবে। দুই সিটি করপোরেশনে এমন কোনো খাল নেই, যেখানে দখল-দূষণের অস্তিত্ব নেই। বিপরীতে খাল পরিষ্কার ও বিশেষ অভিযানের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এটা টেকসই সমাধান নয় বরং অর্থের অপচয়। তাই খাল উদ্ধার করে খালের দুই পাড়ে গাছ লাগানো ও মানুষের হাঁটার পথ করার উদ্যোগ নিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। শুধু খাল নয়, রাজধানীর সব জলাশয় রক্ষায় দুই সিটি করপোরেশনকে প্রত্যয়ী হতে হবে। দেড় কোটি মানুষের মহানগরীকে মানুষের বসবাসযোগ্য করতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর