মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মহান স্বাধীনতা দিবস

আত্মসন্তুষ্টি নয় এগোতে হবে আরও

স্বাধীনতা যে কোনো জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। বাঙালি জাতির জন্যও তা আরও বেশি সত্যি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল এমন একসময় যখন চারদিকে চলছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তান্ডব। ১৯৭০-এর নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। ’৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদাররা শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম গণহত্যা। জাতির ওই ক্রান্তিলগ্নে ২৬ মার্চের শুরুতেই বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ডাক দেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশকে সবচেয়ে গৌরবজনক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা স্মরণ করছি জাতির জনক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও পাকিস্তানি হানাদারদের দ্বারা নিগৃহীত ২ লাখ মা-বোনকে। মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী মিত্রবাহিনীর শহীদ যোদ্ধাদের স্মরণ করছি কৃতজ্ঞচিত্তে। সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে দেশ কতটুকু এগিয়েছে জাতি সে মূল্যায়ন করছে আজ স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান ঘোচাতেও এ দিন শপথ নেবে দেশপ্রেমী প্রতিটি মানুষ। জাতি এ বছর এমন একসময় ৫৩তম স্বাধীনতাবার্ষিকী পালন করছে যখন বিশ্বমন্দা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও কঠিন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের অবমাননাকর স্তর থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন উন্নত বিশ্বের দিকে। এ লক্ষ্য অর্জনে জাতিকে আরও প্রত্যয়ী হতে হবে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার ফলে যেসব চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় নিতে হবে জোরালো পদক্ষেপ। স্বাধীনতার সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে সরকারকে নিতে হবে পরিকল্পিত উদ্যোগ। ৫৩তম স্বাধীনতাবার্ষিকীতে দেশবাসীর প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সর্বশেষ খবর