বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

যক্ষ্মা : প্রতিরোধ ও প্রতিকার

যক্ষ্মা বা টিবি নামক মারাত্মক রোগটির সঙ্গে সবাই কম-বেশি পরিচিত। যক্ষ্মাকে ক্ষয়রোগও বলা হয়। বিশ্বের একটি জটিল সংক্রামক ব্যাধি হচ্ছে যক্ষ্মা। কোনো একসময় মানুষের ধারণা ছিল, ‘হয় যদি যক্ষ্মা নাই তবে রক্ষা।’ এখন এ ধারণাটির আর কোনো ভিত্তি নেই। কারণ তখন যক্ষ্মা বা টিবির রোগজীবাণু সম্পর্কে চিকিৎসকদের কোনো ধারণা ছিল না। এর ফলে এ ব্যাধিটি প্রতিকারের কোনো পন্থা তাদের জানা ছিল না। বর্তমানে যক্ষ্মার রোগজীবাণু আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে এটি নিরাময়েরও ওষুধ বের হয়েছে। যক্ষ্মা বা টিবির রোগজীবাণু শ্বাসের সঙ্গে শ্বাসনালির সাহায্যে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এ রোগটি সংক্রমিত হয় মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টুবরবিউলোসিস নামক অতি ক্ষুদ্র জীবাণুর মাধ্যমে। এই জীবাণু বাতাসে অনেক সময় ধরে জীবিত থাকতে পারে। আমরা অনেকে মনে করে থাকি, যক্ষ্মা বা টিবিতে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির পাশে বসলেই যক্ষ্মা হয়ে যায়। কিন্তু এ রোগটি এভাবে কখনো সংক্রমিত হয় না। এটি সংক্রমিত হয় যক্ষ্মা রোগীর হাঁচি, কাশি, কফ, মলমূত্র ইত্যাদি দ্বারা। এ ছাড়াও যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বদ্ধ, স্যাঁতসেঁতে ও জনাকীর্ণ পরিবেশে খুব দ্রুত রোগ বিস্তার করে থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো বয়সের মানুষ এ রোগের কবলে পড়তে পারে। যক্ষ্মার জীবাণু মানুষের দেহে প্রবেশের কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছরের মধ্যে এ রোগের প্রকাশ ঘটে। সাধারণত দরিদ্র লোকদের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। কফ এবং কাশি হচ্ছে যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ। প্রাথমিক অবস্থায় কাশি, কফ এবং সামান্য জ্বর দিয়ে ব্যাধিটির শুরু হয়। ধীরে ধীরে আরও নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।          

আফতাব চৌধুরী

সর্বশেষ খবর