বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে মানুষ

করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ যখন থাবা বিস্তার করেছিল দুনিয়াজুড়ে তখন অনেক দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক সূচকও দেখা গেছে অনেক দেশে। সে অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম ছিল ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। করোনাকালে ভোজ্য তেলসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। করোনার অভিশাপ থেকে বিশ্ববাসী মুক্তি পেলেও এর প্রভাবে অর্থনীতিতে যে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তি পায়নি। করোনার অভিশাপ না কাটতেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর সংকট আরও বাড়িয়েছে। সে সংকটে বাংলাদেশের মানুষ কতটা অসহায় তার প্রতিফলন ঘটেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিটের এক যৌথ সমীক্ষায় জরিপে উঠে এসেছে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সময়কালে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্য গ্রামীণ এবং শহুরে পরিবারগুলোর জন্য ছিল একটি প্রধান ধাক্কা। মূল্যস্ফীতির চাপ ছাড়াও এ সময় কৃষি উপকরণের উচ্চ মূল্য, ফসল, গবাদিপশুর রোগ, পরিবারের সদস্যের উপার্জন হ্রাস, বন্যা, ফসলের কম দাম ইত্যাদির প্রভাব ছিল। এর প্রভাব কাটাতে পরিবারগুলো খাদ্যাভ্যাসের ধরনগুলো অনিচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন করেছে। তা ছাড়া সঞ্চয় কমে যাওয়া, ঋণ গ্রহণ ছাড়াও বন্ধু বা আত্মীয়দের কাছ থেকে সাহায্য নিতে হয়েছে। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, মূল্যবৃদ্ধির এই প্রভাবে ৭০ শতাংশ পরিবার তাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছে। ৩৫ শতাংশ খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় হ্রাস করেছে। ২৮ শতাংশ ঋণ গ্রহণ করেছে এবং ১৭ শতাংশ পরিবার সঞ্চয় হ্রাস করেছে।

যৌথ সমীক্ষায় স্পষ্ট হয়েছে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা চলেছে তার প্রভাব প্রকটভাবে পড়েছে বাংলাদেশেও। এ প্রভাবের ফলে সুখ ও স্বস্তিতে নেই স্বল্প আয়ের মানুষ। মন্দা মোকাবিলায় নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারকে যত্নবান হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর