সোমবার সাহরি শেষে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারে। জেলায় জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে ঘটে এ হৃদয়স্পর্শী ঘটনা। প্রাণ হারান গৃহকর্তা ফয়জুর রহমান, তার স্ত্রী শিরিন বেগম, তাদের বড় মেয়ে সামিয়া, মেজো মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েম উদ্দিন। এ ঘটনায় ফয়জুরের ছোট মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে উপজেলাজুড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে বলা হয়েছে, ফয়জুর রহমানের বসতঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। সাহরির আগে ও পরে ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়লে সেটি বিদ্যুতায়িত হয়ে পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ফয়জুর তার পরিবার নিয়ে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। গুরুতর আহত শিশু সোনিয়া সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফয়জুরের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়স্বজনসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের পর ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এখন লাইনটি সরানো হবে। আহত শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। উচ্চ ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইনের নিচে ঘর নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তা পল্লী বিদ্যুতের নজর এড়াল সে প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তারা দেননি। একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারানোর ঘটনা শুধু জুড়ী নয় সারা দেশেই শোকের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দেশের শতভাগ এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করা হলেও বহু ক্ষেত্রে জননিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ করে উচ্চ ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক লাইনের নিচে গৃহ নির্মাণ বা বসবাস যে নিরাপদ নয় তা অনেকেরই অজানা। এ ব্যাপারে জনসচেতনতায় উদ্যোগ নেওয়া হবে আমরা এমনটাই আশা করছি।