শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের বাজার

সিন্ডিকেট দমনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। স্বভাবতই বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। আমজনতার কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করছে এই নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা। অসৎ ব্যবসায়ীরা নৈতিকতার মাথা খেয়ে যেভাবে কথায় কথায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে সরকার কড়া পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে নেওয়া হচ্ছে আইনগত পদক্ষেপ। বাজার ‘সিন্ডিকেট’ মোকাবিলায় ১৯৫৬ সালে আইন করেছিল পাকিস্তান সরকার। ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬’ শীর্ষক ওই আইনটিতে বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তালিকাভুক্ত ছিল-যেগুলোর বাণিজ্য, ব্যবসায়িক লাইসেন্স থেকে শুরু করে মূল্য নির্ধারণ-সবকিছুতেই হস্তক্ষেপ করতে পারে সরকার। ৬৮ বছরের পুরনো সেই আইনটিকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উদ্দেশ্য একটাই, ‘বাজার সিন্ডিকেট’ নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতাশালী হওয়া। প্রচলিত আইনের তালিকায় যেসব পণ্যের নাম রয়েছে, তার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সরকার। আইনের আওতায় এসব পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তালিকাভুক্ত পণ্যগুলোতে কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য যদি কারসাজি করে বা মজুত রেখে সংকট তৈরি করে তবে জেল-জরিমানাসহ আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। তবে ছয় দশকেরও বেশি আগের ওই আইনটিতে যেসব পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় বা অতি প্রয়োজনীয় বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে-তার গ্রহণযোগ্যতা এখন আর নেই। এ কারণে আইনটি সংশোধন করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের নতুন তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে- যাতে সরকার সংশ্লিষ্ট পণ্যের সিন্ডিকেট প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। পুরনো আইনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় তামাক সিগারেটের মতো ক্ষতিকর পণ্যের নাম থাকলেও চাল, ডাল, আলুর নাম ছিল না। নতুন আইনে এ সময়ের চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরনো আইন সংশোধন একটি ভালো উদ্যোগ। তবে সবকিছু নির্ভর করছে এটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে কতটা মুনশিয়ানা দেখানো হবে তার ওপর। সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর