শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডলার কারসাজি

সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যে দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এটি ওপেন সিক্রেট। বছরের পর বছর ধরে এ বিমানবন্দর ‘দেশের প্রধান সোনার খনি’ হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলেছে! এ বিমানবন্দর দিয়ে পাচার হয় শত শত কেজি সোনা। মাঝে মাঝে বিদেশ থেকে চোরাইপথে আসা সোনা অবশ্য ধরাও পড়ে। মণকে মণ সোনা ধরা পড়লেও বন্ধ হয় না বিদেশ থেকে অবৈধ পথে আমদানি ও পাচার। কারণ বাংলাদেশ বিমান ও অন্যান্য বেসরকারি বিমানের কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টদের বড় এক অংশ জড়িত পাচার কর্মকান্ডে। বুধবার বিমানবন্দরে কর্মরত ১৯ জন ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি পন্থায় বৈদেশিক মুদ্রা কিনে পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। দুদক বলেছে, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ওই আসামিদের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের অবৈধভাবে মুদ্রা সরবরাহ করতেন। আর অবৈধভাবে ডলার বেচাকেনার কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে। দেশে ফেরা প্রবাসী শ্রমিকদের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আনেন। এসব ডলার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করছে চক্রটি। জাল ভাউচারে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে পরে তা খোলা বাজারে ছাড়া হয়। বেআইনিভাবে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে ব্যক্তিগত লাভের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করেছেন তারা। বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভুগছে দুই বছর ধরে। দেশের রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্সের উৎস বিদেশে কর্মী পাঠানো বৃদ্ধি পেলেও বৈদেশিক মুদ্রার অভাব দেখা দিচ্ছে কারসাজির জন্য। এ ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর