রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভালোবাসাহীন সমাজে বাড়ছে আত্মহত্যা

নঈম নিজাম

ভালোবাসাহীন সমাজে বাড়ছে আত্মহত্যা

আত্মহত্যা কি সমস্যার সমাধান? চোখের সামনে হনন দেখছি। অভিমানে ঝরে পড়ছে তারুণ্য। এভাবে কেন চলে যেতে হবে? চলে যাওয়া তো সমস্যার সমাধান নয়। বরং একজন চলে গিয়ে গোটা পরিবারকে ডুবিয়ে দিচ্ছে বিষাদের সাগরে। পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে সংকট আছে, থাকবে। ভয়ংকর পরিবেশ আর খারাপের মাঝেই টিকে থাকতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে অসংগতির। সাহসী হতে হবে।  সেই দিন একটি ভিডিও দেখছিলাম। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ফুটপাত ধরে হাঁটছিল একটি মেয়ে। হঠাৎ তার সামনে এসে দাঁড়ান বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ফুটপাতে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন বেপরোয়া লোকটি। মেয়েটি বাধা দিলেন। পথ আটকালেন বাইকের। চিৎকার করে বললেন, ফুটপাত দিয়ে বাইক চালাবেন না। এটা হাঁটার পথ। রাস্তা দিয়ে চলুন। চালক কথা শুনলেন না। বেপরোয়াভাবে বাইকটি মেয়েটির ওপর তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করলেন মেয়েটি। দুই হাত দিয়ে আটকালেন মোটরসাইকেল। জয় হলো মেয়েটির। ফুটপাতে ছিটকে পড়ল মোটরসাইকেল। এবার চালক মেয়েটির দিকে তেড়ে এলেন। পথচারীরা সব দেখছিলেন। তারা এগিয়ে এলেন মেয়েটির পাশে। অবস্থান নিলেন মেয়েটির পক্ষে। বেগতিক পরিস্থিতি দেখে সটকে পড়লেন মোটরসাইকেল চালক।

অসংগতির বিরুদ্ধে এভাবেই প্রতিবাদ করতে হয়। অভিমানে চিরপ্রস্থান কোনো সমাধান নয়। হতাশা থাকতেই পারে। ভেঙে পড়লে চলবে না। প্রতিবাদ জানাতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে। সমাজে খারাপ লোকের সংখ্যা বাড়ছে। ভালো মানুষের সংখ্যা কমছে। তারপরও টিকে আছে এই সমাজ। খারাপ মানুষের তৈরি করা বিভীষিকা তৈরি করে হতাশা। আর হতাশা, বঞ্চনা, বিভিন্ন নিপীড়ন থেকেই মানুষ আক্রান্ত হয় মানসিক রোগে। আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়ছে। শহরের চাকচিক্যের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে গ্রাম থেকে আসা তারুণ্য ভেঙে পড়ছে। হিমশিম খাচ্ছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে এখন কম- বেশি ৩ কোটির বেশি মানসিক রোগী। এর বিপরীতে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা বাড়েনি। পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বের হননি। হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত সিট। উন্নত বিশ্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলাদাভাবে মানসিক স্বাস্থ্য রোগ বিশেষজ্ঞ রাখে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থীদের দিকে চোখ রাখে। তাদের চাল-চলনে অসংগতি দেখলে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়। মানসিক রোগের চিকিৎসার আলাদা ইউনিট থাকে হাসপাতালে। দেশ এগিয়ে চলছে। সমৃদ্ধি বাড়ছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানসিক রোগও বাড়ছে। মেডিকেল চিকিৎসক দাবি করা মেয়েটির ভিডিও দেখি না। এই মেয়েটি আমাদের সমাজের কঠিন বাস্তবতার অংশ। কোনো দোষ না খুঁজে, তাকে ভাইরাল না করে জরুরিভাবে পাঠানো প্রয়োজন মানসিক চিকিৎসকের কাছে।

সবকিছুতে বিনোদনের প্রয়োজন নেই। ভাইরাল সংস্কৃতি বিনোদনের নামে সমাজে মানসিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। বৃষ্টি খাতুন অথবা অভিশ্রুতি নামের পুড়ে যাওয়া মেয়েটির জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট দেখলাম। আগামীতে এ মেয়েটির নানামুখী মানসিক জটিলতা নিয়ে হয়তো মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করবেন। জানবেন, মেয়েটি ধর্ম এবং নিজের সামাজিক অবস্থান নিয়ে এত মিথ্যার আশ্রয় নিল? একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি বললেন, মেয়েটি উঠে এসেছে মফস্বলের একটি ছোট পরিবার থেকে। বাবা ছিলেন রাজমিস্ত্রি। স্কুলে পড়ার সময় পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তার ভিতরে পরিবর্তন নিয়ে আসে। এ সময় তার একজন প্রিয় শিক্ষক ছিলেন হিন্দু ব্রাহ্মণ। ধর্মগত অবস্থানের কল্পনার ফানুসগুলো কম বয়সে ধারণ করে বৃষ্টি খাতুন। ঢাকায় এসে ইডেনে পড়ার সময় চারপাশের পরিবেশ তাকে আরও বদলে দেয়। মানসিক চাপ তৈরি হয় সমাজের সঙ্গে খাপ-খাওয়াতে গিয়ে। বান্ধবীর কাছে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের গল্প শুনে কল্পনার মনোজগতে সেখানকার অধিবাসী হিসেবে ভাবতে থাকে। সেই ভাবনা থেকে তৈরি করে নিজের নতুন পরিচয়। মন্দিরে গিয়ে পূজা দেখে নিজের কল্পনার জগতে স্কুলের শিক্ষকের জীবনাচার, ¯েœহের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। ছোটবেলায় পারিবারিক ¯েœহ বঞ্চনা তার নিজস্ব সত্তা বদলে দেয়। সাংবাদিকতা করতে এসে আরও তালগোল পাকিয়ে ফেলে। ভারতের ভাস্কর পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে অনেকের সাক্ষাৎকার নেয়। অথচ মেয়েটি সেই পত্রিকার রিপোর্টার ছিল না। মেয়েটির মৃত্যুর পর হিন্দুু না মুসলমান এই বিতর্কের জেরে বেরিয়ে আসে অনেক কিছু।

ডিজিটাল মাধ্যম থেকেও মানসিক অসুস্থতা বাড়ছে। সারা দিন নোংরামি দেখতে দেখতে সমাজ ক্লান্ত। আগে বই পড়ে মানুষ জ্ঞান অর্জন করত। এখন ডিজিটালে নোংরা হিংসাত্মক রুচিহীন কর্মকান্ড দেখে হতাশা বাড়ায়। মানুষ অতি সহজে সব পারে। শোক, দুঃখকে মুহূর্তে ভুলতে পারে। অল্প সময়ে শোক কাটিয়ে হয় স্বাভাবিক। একই মানুষ সকালে যান জানাজাতে। দুপুরে বিয়েবাড়ি। রাতে বন্ধুদের মদের টেবিলে। সবখানে সমান্তরাল অংশগ্রহণ। কোথাও কোনো কমতি নেই। মরা বাড়িতে গিয়ে আলাপ করে কাতলা মাছের ঝোল নিয়ে। ভালো খাবারের আলোচনায় মশগুল হয়। প্রিয়জন হারানোর শোক নিয়ে নাজিম হিকমতের কবিতার মতো এক বছরও হয় না। মাস না পার হতে সবাই সব ভুলে যায়।

ঘরে হোক বাইরে হোক সম্পর্ক ও ভালোবাসা আসতে হয় মনের ভিতর থেকে। জাপানি মা বাংলাদেশি একজন বাবার বিরুদ্ধে লড়ছেন সন্তানের দাবি নিয়ে। অনেক দিন থেকে মামলাটি চলার পর শেষ পর্যন্ত আদালত রায় দেন। দুই সন্তান থাকবে মায়ের কাছে। একজন বাবার কাছে। বাবা- মায়ের লড়াইতে শিশুরা শুরু থেকে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তারা বুঝতে পারছিল না কোন দিকে যাবে। দুনিয়ার সব শিশু বেড়ে ওঠার সময় চায় বাবা-মা দুজনই পাশে থাকুক। সেই শিশুদের এখন দেখতে হচ্ছে আইন-আদালত, পুলিশ। পৃথিবীর কোন সন্তান পিতা-মাতার এমন লড়াই চায়? সামাজিক, পারিবারিক সংকটে ডিভোর্স বাড়ছে। কমেছে মানুষের ভালোবাসা। ভালোবাসাহীন সমাজে কৃত্রিমতা নিয়ে মানুষ বাড়িয়েছে দিবসের সংখ্যা। দিবস বাড়িয়ে কি অন্তর জোড়া দেওয়া যায়? খুঁজে পাওয়া যায় হৃদয়কে? আয়োজন করে কি মা, বাবা দিবস হয়? তথাকথিত দিবসে সন্তান বৃদ্ধ বাবা-মাকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠায়। বাবা-মা থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে। সন্তান থাকে বিদেশে অথবা দেশের উচ্চপদে। সন্তানের ঠিকানা দামি এলাকার ফ্ল্যাটে। ভালোবাসার কার্ড পেয়ে বৃদ্ধাশ্রমে চোখের জল ফেলেন বাবা-মা। আহারে জীবন! অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোক, ভদ্রমহিলা বাবা-মায়ের খবর নেন না। আবার নিজের সন্তানদের নিয়ে পালন করেন বাবা-মা দিবস। তারা বোঝেন না, এই শিশুরা শিখছে কীভাবে বাবা-মাকে অবহেলা করতে হবে। যন্ত্রণা দিতে হবে শেষ বয়সে।

দিবস পালন করে ভালোবাসা আসে না। ভালোবাসার জন্য নির্ধারিত একটি দিনকে কেন বাছাই করতে হবে? ভালোবাসা প্রতিদিনের বিষয়। পারিপার্শ্বিক জটিলতা, নোংরামি, অসুস্থতায় মানুষের মনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে দিবসের সংখ্যা। গড়ে প্রতি মাসেই বিভিন্ন দিবস উদযাপিত হয়। সেই দিন ফেসবুকে দেখলাম হাগ দিবস পালিত হচ্ছে। এখন নাকি হাত ধরা দিবস আছে। চুমো দিবসও বাদ নেই। আয়োজন করে পালন করা হয় ফুল দেওয়া দিবস। আগে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মঙ্গল কামনায় মুরব্বিরা কপালে ফুঁ দিয়ে দোয়া দিতেন। এখন কোনো কিছু নেই। আমাদের অনেক কিছু সেকেলে হয়ে গেছে। অতি আধুনিকতা বদলে দিয়েছে সব। প্রযুক্তি মানুষের ভিতর থেকে আবেগ, বিবেক-সব কেড়ে নিয়েছে। বাড়িয়েছে সামাজিক-পারিবারিক বৈষম্য। ঘরে-বাইরে সুখশান্তি কোনোটাই নেই। কৃত্রিমতা নিয়ে সবাই ছবির পোজ দেন। তারপর পোস্ট দিয়ে বাড়ান লাইক শেয়ার, কমেন্ট। ভিতরের ক্ষয়ে যাওয়াটা কেউ প্রকাশ করেন না।

সম্পর্কের নানাবিধ জটিলতায় সমাজে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সন্তান হত্যা করছে বাবা-মাকে। আবার বাবা-মা খুন করছেন সন্তানকে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেউ হচ্ছে আত্মঘাতী। সমাজে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। দুই দিন পর সবাই সব ভুলে যায়। সময় এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক শিক্ষক আলাদা করে রাখার। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর মনোজগৎ নিয়ে কাজ করবেন। উন্নত মানসিকতা তৈরিতে সহায়তা করবেন। পারিবারিক সংকটে অথবা বেড়ে ওঠার সময় নানামুখী জটিলতায় বিপাকে পড়ে শিশু, কিশোর, তারুণ্য। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ সন্তানকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ক্ষতি বাকি জীবনে সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে না। অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সারা দুনিয়াতে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি জোর দেওয়া হয়। আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। উন্নতি সমৃদ্ধির সঙ্গে জরুরি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে না নিলে প্রজন্মের ভিতরে মাদকাসক্তি বাড়বে। নিত্যনতুন মাদকে সয়লাব হয়ে যাবে চারপাশ। চারদিকে দিশাহারা ভাব তৈরি হবে। বাড়বে সামাজিক অসুস্থতা ও অপরাধ। কঠিন বাস্তবতাকে পাশ কাটানোর সুযোগ নেই।

সময় পরিবেশ পরিস্থিতি অনেক কিছুর জানান দেয়। ভরা জ্যোৎস্নায় হঠাৎ অন্ধকার নেমে আসে। মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যায় চাঁদ। মানুষের অবাক ভাবুক হৃদয় জেগে ওঠার আগেই স্বাভাবিকতা ফিরে আসে।  পেছনে ফেলে যায় আঁতকে ওঠা সব স্মৃতি। বেইলি রোডের ঘটনা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের স্তব্ধ করেছে। সামনে এসেছে কঠিন সব বাস্তবতা। অভিভাবকদের খবর রাখতে হবে সন্তানের। দিবস পালন করে নয়, সত্যিকারের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকতে হবে পরিবারে। ইন্দ্রানী ছবিতে গভীর প্রেম থেকে উত্তম-সুচিত্রা বিয়ে করেন জাত কুলের কথা চিন্তা না করেই। সংসার করতে গিয়ে দুজন জীবন-জীবিকার কশাঘাতে টিকতে পারলেন না। স্কুলশিক্ষিকা হিসেবে মফস্বল শহরে কোয়ার্টার পেয়েছিলেন সুচিত্রা। সেই বাসায় গিয়ে উত্তম গাইলেন, নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশটা তো বড়...। সেই গানও টিকল না সংসারের কঠিন বাস্তবতার কাছে। দুজনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। সেই দূরত্ব থেকে আসে বিচ্ছেদ। উত্তম কুমার সেই নীড় ছাড়লেন। ভালোবাসা সহজতর বিষয় নয়। নির্ধারিত দিনে ভালোবাসা দিবসে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে একটি ফুল উপহারে ভালোবাসা আসে না।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদযাপন জনপ্রিয় করেছিলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। তিনি তেজগাঁওতে লাভ রোড নামকরণ করলেন যায়যায়দিন পত্রিকা অফিস সড়ককে। ভালোবাসা দিবসে রঙিন শার্ট পরা, লাল গোলাপ উপহার তিনি জনপ্রিয় করলেন। বাঙালি সংস্কৃতিতে উদযাপন হতো পহেলা ফাগুন, বসন্ত শুরুর দিন। বিদেশের উপমায় শফিক রেহমান তৈরি করলেন ভালোবাসা দিবস। এক ভালোবাসা দিবসে শফিক রেহমান বেগম খালেদা জিয়াকে লাল গোলাপ উপহার দিয়েছিলেন। আশির দশকের ছাত্রনেতারা শফিক রেহমানের এই প্রচারণাকে ভালোভাবে নেননি তখন। তারা বলেছিলেন, এই দিনে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাফর, জয়নাল, দীপালি সাহাসহ অনেক ছাত্র নিহত হয়েছিলেন।

ভালোবাসা দিবসের আড়ালে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সেই দিনটিকে। সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে স্বীকার করে সংকটের সমাধানে যেতে হবে। সমাজ সংসারের প্রতি দায়িত্বটুকু জরুরি। মত ও পথের ভিন্নতা থাকতে পারে। সম্পর্ক ধরে রাখাতে বাধা নেই। সম্পর্কগুলোকে নিজেরাই দমবন্ধ করে রাখলে চলবে না। উন্মুক্ত করতে হবে চারপাশটা।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর