শিরোনাম
রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

জাল টাকার দৌরাত্ম্য

অপরাধীদের জামিন বন্ধের পথ খুঁজুন

জাল টাকার দৌরাত্ম্য দুনিয়ার সব দেশেই আছে, বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। দেশের অর্থনীতির জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে কিছু সুসংবদ্ধ অপরাধী। যারা জাল নোট তৈরি এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ঈদ আসতে না আসতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা চক্রের কারবারিরা। বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে জালিয়াত চক্রের সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদের কেনাকাটায় চক্রটি রাজধানীসহ সারা দেশে জাল টাকা বিতরণ করছে। চক্রটি ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর এসব জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে চক্রটি। এ চক্রের তৎপরতা রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সক্রিয়। বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ প্রায়ই এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জাল টাকা তৈরির পর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে চক্রের সদস্যরা। প্রিন্টার ও অন্যান্য সরঞ্জামের সহায়তায় বিশেষ ধরনের কাগজে নিখুঁতভাবে জাল টাকা তৈরি করা হয়। আসল টাকায় যে রং পরিবর্তনশীল কালি, অসমতল ছাপা, নিরাপত্তা সুতা ও জলছাপ রয়েছে একইভাবে বিশেষ পদ্ধতিতে জাল টাকায়ও জলছাপ ও নিরাপত্তা সুতার ব্যবহার এবং অনেক ক্ষেত্রে অসমতল ছাপাও দেওয়া হচ্ছে। এসব জাল নোট সহসাই যে কারও পক্ষে চেনা কঠিন। জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ধাপে কাজ করে চক্রের সদস্যরা। শুধু বাংলাদেশ নয়, তারা বিভিন্ন দেশের জাল মুদ্রা তৈরি করছে। বিভিন্ন সময় জাল টাকা ও তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের একই কাজ শুরু করে। দুনিয়ার সব দেশে মুদ্রা জালের নজির থাকলেও এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা ধরা পড়ার পর অতি সহজে জামিন পেয়ে যায় এমন কোনো নজির আছে কি না আমাদের জানা নেই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, জাল টাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকে আইনজীবীদের একাংশ। অদৃশ্য কারণে তারা ছাড়াও পেয়ে যান। জালিয়াতদের দৌরাত্ম্য থামাতে এটিকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর