মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

জনশক্তি রপ্তানি

জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিন

বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস। কিন্তু নানা বিড়ম্বনায় বিদেশে জনশক্তি পাঠানো জটিলতার মুখে পড়ছে। স্মার্টকার্ড সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। গ্রুপ ভিসার বাইরে স্মার্টকার্ড দেওয়া দুই মাস ধরে বন্ধ। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ডিমান্ড নোট সত্যায়ন হচ্ছে না দিনের পর দিন। সত্যায়নের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে শেষ হয়ে যাচ্ছে মেয়াদ। দীর্ঘদিন বাংলাদেশি শ্রমিকরা যেতে পারছে না কুয়েতে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো নিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। আগামী ৩১ মে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের দু-একটা দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের অবস্থাও খারাপ। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, সাধারণ শ্রমিকরা বিদেশ যেতে টাকা জমা দিয়ে রেখেছে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সিতে। বেশির ভাগ ডিমান্ড নোটের মেয়াদ থাকে চার থেকে ছয় মাস। এ সময়ের মধ্যে স্মার্টকার্ডসহ অন্যান্য ছাড়পত্র সম্পন্ন করতে হয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেতে বিলম্ব হয়। এ কারণে বাতিল হয়ে যায় অনেকের ভিসা। বিএমইটি স্মার্টকার্ড ছাড়া বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কাউকে যাওয়ার সুযোগ দেয় না। মেয়াদ নিয়ে উৎকণ্ঠিত ভিসাপ্রাপ্তরা রিক্রুটিং এজেন্সির সামনে গিয়ে ভিড় জমান। টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধের পরও কেন তারা বিদেশে যেতে পারছেন না এ নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির লোকজনের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন। স্মার্টকার্ড প্রদানে অহেতুক বিলম্ব এ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ রয়েছে, উৎকোচের জন্য নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো হয় ভুক্তভোগীদের। শ্রমবাজারের সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। আড়ালে থাকা শক্তিশালী চক্র এ বাজারটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তাদের কারসাজিতে এ শ্রমবাজারটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশিদের জন্য। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরার ভূমিকায়। সে ক্ষেত্রে গাফিলতি দেশপ্রেম বর্জিত আচরণের শামিল। স্মার্টকার্ড ডিমান্ড নোট সত্যায়ন নিয়ে যে সময়ক্ষেপণ চলছে এর অবসানে সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।

সর্বশেষ খবর