মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম

সৌভাগ্যবানদের তালিকা তৈরি করুন

বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের অবস্থান যাই হোক, বিদেশে সেকেন্ড হোম গড়ার ব্যাপারে এ দেশের কিছু ভাগ্যবান এগিয়ে। কানাডায় রয়েছে বাংলাদেশি আমলা ও রাজনীতিকদের বেগমপাড়া। যে এলাকার সুরম্য ভবনগুলোর মালিক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি আমলা, রাজনীতিকদের বেগমরা। সেকেন্ড হোম হিসেবে বাংলাদেশি বিশেষ ভাগ্যবানদের অন্যতম পছন্দ মালয়েশিয়া। সাংস্কৃতিক দিক থেকে এ দেশটি যেমন কাছাকাছি তেমন অবস্থানগত দিক থেকেও। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি সে দেশে ‘সেকেন্ড হোম’ গড়েছেন। ২৯ মার্চ মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশটিতে গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‘সেকেন্ড হোম’ পাস হোল্ডার রয়েছেন। তালিকায় ২৪ হাজার ৭৬৫ জন নিয়ে শীর্ষে চীন। এরপর যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩ হাজার ৯৪০, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪, যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ২৩৪, তাইওয়ানের ১ হাজার ৬১১ ও যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৩৪০ জন। সিঙ্গাপুরের ১ হাজার ২৮২, ভারতের ১ হাজার ২২৩ এবং অস্ট্রেলিয়ার ১ হাজার ৬৯। মালয়েশিয়া ‘মাই সেকেন্ড হোম’ প্রোগ্রামে ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬১০টি এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯২৯টি আবেদন অনুমোদন দেয়। বছরখানেক বিরতির পর ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৬৮টি আবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে যারা মালয়েশিয়ায় বাসস্থান গড়েছেন তারা ১০ বছরের আগে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন না। প্রতি পাঁচ বছর পর তাদের ভিসা নবায়ন করতে হয়। আবেদনকারীদের সন্তানরা মালয়েশিয়ায় পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়ার সুযোগ পান। বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোম কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশে যারা কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপায়ের আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন তাদের জন্য কর্মসূচিটি লোভনীয় হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করব সেকেন্ড হোম গড়া সৌভাগ্যবানদের তালিকা প্রস্তুত করে কীভাবে তারা এ সৌভাগ্যের অধিকারী হলেন তা উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে।

সর্বশেষ খবর