বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

হার্ট অ্যাটাক ও শিশুমৃত্যু

উদ্বেগ থামাতে স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে হবে

বাংলাদেশে হার্ট অ্যাটাকে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। উদ্বেগ বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হারে। বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে গর্ব করত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার বাংলাদেশে কম। ভারত পাকিস্তানের জন্যও বাংলাদেশের সাফল্য ছিল ঈর্ষার। কিন্তু করোনাঘাতের পর সে ক্ষেত্রে নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে মৃত্যুর শীর্ষ যে ১০টি কারণ দেখানো হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ‘হার্ট অ্যাটাকে’। অন্য কারণগুলো হলো-মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা ব্রেন স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যকৃতের ক্যান্সার, অ্যাজমা, সাধারণ জ্বর, উচ্চরক্তচাপ, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস। ২৪ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে হার্ট অ্যাটাকে প্রতি ১ হাজারে ১ দশমিক শূন্য ২ জন মারা গেছেন, ২০২২ সালেও ১ দশমিক শূন্য ২ জন মারা গেছেন, ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ দশমিক শূন্য ৩। বিবিএস বলছে, ২০২২ সালে দেশে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ছিল হাজারে ২৫ জন, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ২৭। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২১। অন্যদিকে এক মাসের কম বয়সী নবজাতকের মৃত্যুহার হঠাৎ বেড়ে গেছে। প্রতি ১ হাজার জীবিত নবজাতকের মধ্যে ২০ জন মারা যায়। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৬। পাঁচ বছর আগে ছিল ১৫। এ ছাড়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ জন। ২০২২ সালে ছিল ৩১ জন। পাঁচ বছর আগে ছিল আরও কম, ২৮ জন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু বাড়ছে। এসব রোগ প্রতিরোধযোগ্য। এসব রোগে মৃত্যু কমিয়ে আনতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কোনো ব্যবস্থা নেই। গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও সেখানে জনবল সংকট। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানে শুধু ওষুধ কিংবা টিকা দেওয়া নয়, আরও অনেক ধরনের সেবা অন্তর্ভুক্ত। শিশুদের পুষ্টি, গর্ভবতী নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রয়োজন হয়। সামাজিক সুরক্ষার আওতায় থাকা ৩-৪ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা গেলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। শিশুমৃত্যুর হার রোধে শিশুর মায়ের পুষ্টি ও পরিচর্যায় যত্নবান হতে হবে।

সর্বশেষ খবর