বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

পরিবহন চাঁদাবাজি

কর্তাব্যক্তিদের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙুক

দেশের পরিবহন খাত কিম্ভূতকিমাকার চাঁদাবাজির শিকার। সব সম্ভবের এই দেশে পরিবহন খাতের মালিকরাও চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। সে চাঁদাবাজি হয় মালিক সমিতির নামে। চাঁদাবাজিতে যুক্ত শ্রমিক সংগঠনও। এ খাতের মালিক ও শ্রমিক সংগঠন বহু ক্ষেত্রে হরহরি আত্মার ভূমিকা পালন করে। পরিবহন চাঁদাবাজিতে পকেট ভারী করেন টাউট রাজনৈতিক নেতারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীও এ অপকর্মে জড়িত। প্রতি মাসে পরিবহন খাত থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় হচ্ছে। যানবাহনভেদে দৈনিক ২০ টাকা থেকে হাজার টাকা আদায় হয়। এর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চৌরাস্তায় প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা করে চাঁদা আদায় করে একটি রাজনৈতিক সিন্ডিকেট। লালবাগ ছাপরা মসজিদ থেকে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত প্রতিদিন ৪০০ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে। এদের থেকে প্রতিদিন ৫০ করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় হয়। শুধু এ দুই জায়গায় নয়, সারা দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, লেগুনা, বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য পরিবহন থেকে শত কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়। প্রতিটি স্ট্যান্ড ঘিরে রয়েছে শ্রমিক সমিতি কিংবা মালিক সমিতির নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠন। আর এগুলোর নেতৃত্বে থাকছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালীরা। এদের সমন্বয়েই গড়ে উঠেছে পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট। বিভিন্ন রুটে গাড়ি চালাতে পুলিশকেও নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে হয়। ঢাকায় চলছে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ আশপাশ জেলার ১৫ হাজার মিটারবিহীন সিএনজি অটোরিকশা। দালাল চক্র ও পুলিশের সঙ্গে মাসিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা চুক্তিতে এ গাড়িগুলো চলাচল করে। হাই কোর্টের রায় অমান্য করে ঢাকা মহানগরীতে চলছে মিটারবিহীন সিএনজি অটোরিকশা। চাঁদাবাজির কারণে বাসযাত্রী এবং অন্যান্য পরিবহন যাত্রীদের ও পণ্যের ভোক্তাদের বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর