কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি- কেএনএ নামে উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের ধৃষ্টতা সীমা ছাড়িয়েছে। অতি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই সন্ত্রাসী দলটি বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ধর্মান্ধ জঙ্গি গ্রুপগুলোর সঙ্গে রয়েছে এ দুষ্কৃতকারীদের সম্পর্ক। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে কেএনএর সদস্যরা। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সরকার সন্ত্রাসী এই গ্রুপটির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় রাজি হয়। আলোচনা যখন চলমান তখন ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটেছে তিনটি সন্ত্রাসী ঘটনা। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও লুটের ১৬ ঘণ্টার মাথায় বুধবার দিনদুপুরে থানচি উপজেলার দুটি ব্যাংকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তারা ব্যাংক-কর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা লুটে নেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দুটি গাড়িতে এসে পাশাপাশি থাকা কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক শাখায় হামলা চালায়। কৃষি ব্যাংকের থানচি উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপকের ভাষ্য- সন্ত্রাসীরা চোখের পলকে ব্যাংকে ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে। তারপর সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে বাইরে থেকে আটকে দেয়। স্থানীয়রা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এসে দোকানগুলো থেকে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় অস্ত্রধারীরা। পরে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটতরাজ করে চলে যায়। হামলাকারীরা নব্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির অনুরূপ ইউনিফর্ম পরিহিত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিন ব্যাংক লুটের ঘটনায় বলেছেন, এ বিষয়ে যা যা করা দরকার করা হবে। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিপথগামী সন্ত্রাসী উপজাতীয় সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বসা ছিল যথার্থ পথ। কিন্তু শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে যারা নাশকতায় নেমেছে তাদের ক্ষমা করার সুযোগ নেই। পার্বত্য এলাকার শান্তির স্বার্থে দুর্বৃত্ত দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কঠোর হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।