শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

নাগরিক বিড়ম্বনার অবসান হোক

বর্জ্য অপসারণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে দেশের পৌরসভাগুলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না করায় দূষণে-দুর্গন্ধে বিপন্ন নাগরিক জীবন। অধিকাংশ পৌর এলাকায় প্রকাশ্যে সড়ক ও জনবসতির পাশেই আবর্জনা রেখে দেওয়া হচ্ছে। পৌরসভার মেয়রদের ভাষ্য, অর্থাভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিতে পারছেন না তারা। জমি কিনে ডাম্পিং স্টেশন বানানোর সঙ্গতিও নেই অনেক পৌরসভার। দেশের অধিকাংশ পৌরসভায় গৃহস্থালি ও মেডিকেল বর্জ্য নিয়মমাফিক অপসারণের সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। ফলে নাগরিক সেবার পরিবর্তে নাগরিক ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে পৌরসভাগুলো। অপরিকল্পিত ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম পৌরসভা বগুড়ার বাসিন্দারা। বেশির ভাগ ভাগাড় রাস্তার পাশে হওয়ায় ময়লা-আবর্জনা চলে আসে রাস্তায়। বগুড়া পৌরসভায় ১০ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন গড়ে আড়াই শ টনের বেশি ময়লা-আবর্জনা জমা হয়, যেগুলো ফেলা হচ্ছে শহরের রাস্তার ধারে। দু-একটি বাদে দেশের অন্য সব পৌরসভার চিত্র প্রায় অভিন্ন। দেশে নগরায়ণের ক্ষেত্রে পৌরসভার ভূমিকা ব্যাপক। কিন্তু সব পৌরসভারই নিজের পায়ে চলার ক্ষমতা নেই। যে কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের দয়ার ওপর নির্ভর করতে হয় পৌরসভা নামের স্থানীয় সরকারগুলোকে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও থাকে সীমাবদ্ধতা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে এক সময় রাজধানীর যেখানে সেখানে গড়ে উঠত ময়লার ভাগাড়। আধুনিকায়নের বদৌলতে কিছুটা পরিবর্তন এলেও তা খুব স্বস্তিদায়ক বলা যাবে না। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য রাজধানীর নদ-নদী, লেক-খালের অবস্থা করুণ। দেশের পৌর এলাকাগুলোর ময়লা-আবর্জনার অংশ ফেলা হয় প্রাকৃতিক জলাশয়গুলোতে। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ বিষয়ে সরকার নজর দেবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর