রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

মদদদাতাদের চিহ্নিত করুন

বান্দরবান পার্বত্য জেলার সন্ত্রাসকবলিত তিন উপজেলায় কুকি-চিন আর্মি নামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। তিন উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। দুই দিনে ওই এলাকার তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি ও একজন ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, ১৪টি অস্ত্র লুট, পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর সন্ত্রাসীদের কবল থেকে পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় মানুষের জানমাল রক্ষাকে সরকার কর্তব্য বলে মনে করছে। এ উদ্দেশ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি বাহিনী। বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্পর্শকাতর পয়েন্টে রাখা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিবিকে। বড় ধরনের সাঁড়াশি অভিযানের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এসব নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর আগে গত বছর র‌্যাব পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস ও মৌলবাদবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র বিপুলসংখ্যক অনুসারী ও শীর্ষ নেতাকে আটকের পর বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় কেএনএর সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলোর গড়ে ওঠা নেটওয়ার্ক অনেকটা ভেঙে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, এবারের বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে এ অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীদের নির্মূলে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে র‌্যাব। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানিয়েছে, কেএনএফ নির্মূল পর্যন্ত যৌথ অভিযান চলবে। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট উপদ্রুত এলাকায় তাদের ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। হাটবাজার হয়ে পড়েছে জনশূন্য।  ঈদের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটকের আগমনে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের আয়-রোজগারের যে আশা ছিল সন্ত্রাসীদের কারণে তা স্তব্ধ হয়ে গেছে। আমরা আশা করব, দেশবিরোধী অপচক্রের শেষ সদস্যটি টিকে থাকা পর্যন্ত অভিযান চলবে। একই সঙ্গে কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা কোথা থেকে মদদ পাচ্ছে সে বিষয়টিও উদঘাটন করা হবে। ওদের মদদদাতাদের স্তব্ধ করে দেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর