মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইরানের পাল্টা হামলা

ইসরায়েলি হঠকারিতার উচিত জবাব

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ১৯৪৮ সালে অবৈধভাবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর যে দুটি মুসলিম দেশের সঙ্গে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের হরিহর আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার একটি ইরান। ইরানে ইসলামী বিপ্লব জয়ী হওয়ার পর সে সম্পর্ক ভিন্ন মেরুতে অবস্থান নেয়। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইরানই ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। শিয়া-সুন্নি বিতর্কের ধার না ধরে তারা ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা দোসরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নির্মম আচরণে বাদবাকি মুসলিম বিশ্ব ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতি অবলম্বন করলেও একমাত্র ইরানই দাঁড়িয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাশে। সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে গত ১ এপ্রিল হামলার জবাবে শনিবার ইসরায়েল অভিমুখে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েল কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার পর তেহরান বলেছিল, এটি তাদের ভূখন্ডে হামলার শামিল। ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো কূটনৈতিক এলাকা, দূতাবাস ও কনস্যুলেটে কোনো দেশের হামলা অনুমোদনযোগ্য নয়। তবে ইরান কিংবা ইরানি স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করাকে বৈধ কাজ বলে দাবি করে ইসরায়েল। দামেস্কে কনস্যুলেটে হামলার ১৩ দিন পর পাল্টা হামলা চালায় ইরান। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী এ হামলা সম্পূর্ণ বৈধ বলে দাবি করছে ইরান। জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলা হলে ওই রাষ্ট্র যদি আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করতে চায় তবে তা ক্ষুণ্ণ করা যাবে না। আমরা মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় এলাকা শুধু নয়, বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে যুদ্ধ ও হানাহানির বিরুদ্ধে। তবে ইসরায়েল যেভাবে ইরানের কূটনীতিক মিশনে হামলা চালিয়েছে তার জবাব দেওয়ার অধিকার তেহরানের রয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার পর দুই পক্ষ সংযম পালন করলে সেটিই হবে উত্তম।

সর্বশেষ খবর