শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়কে মৃত্যুর মিছিল

এ দুর্ভোগের অবসান কাম্য

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায় তা আমাদের জানা নেই। ট্রাফিক শৃঙ্খলার অভাবে ঘটছে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা। সব সম্ভবের এই দেশে মহাসড়ক বা হাইওয়েগুলোতেও চলে নসিমন, করিমন ও অটোরিকশার মতো যানবাহন। উল্টোদিক থেকে অহরহ যানবাহন চলাচল করলেও তা দেখার কেউ নেই। এসব দেখার জন্য হাইওয়ে পুলিশ থাকলেও তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে বলে মনে হয় না। সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে যেসব কারণ দায়ী তার মধ্যে অন্যতম হলো- আইন অমান্যের প্রবণতা। যানবাহন চালক, পথচারী সবার মধ্যে এ প্রবণতা ক্রিয়াশীল। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অনেক সময় উল্টোপথে যানবাহন চালান, এটি একটি ওপেন সিক্রেট। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে সড়ক শৃঙ্খলার অভাবে। মহাসড়কে হাটবাজার বসলেও তা দেখেও না দেখার ভান করেন হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। সড়ক দুর্ঘটনার রাশ টানতে হলে যেমন ইচ্ছা তেমন চলার প্রবণতায় বাঁধ সৃষ্টি করতে হবে। মোটরসাইকেলের ফ্রি-স্টাইল চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা দরকার। সবচেয়ে আগে কী কারণে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে তা উদঘাটন করে মূল জায়গায় হাত দিতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা গেলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এজন্য লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা দরকার। যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ যাতে যান্ত্রিক যানবাহন চালাতে না পারে সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে। যানবাহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের সম্পর্ক নিয়ে যে রটনা রয়েছে তার ইতি ঘটানোও জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক প্রাণ ঝরবে তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।  হতাহতের মিছিল আর দীর্ঘায়িত করতে না চাইলে যানবাহনে চালক, যাত্রী, পথচারী এবং ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে যারা জড়িত তাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। জনসচেতনতা গড়ে তোলাও জরুরি। এক্ষেত্রে ঘাটতি আছে বলেই সড়কে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। তা যেভাবেই হোক এ দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর