শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিশ্ববিদ্যালয় সমাচার

যথেচ্ছাচার প্রবণতা বন্ধ হোক

দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে ব্যাঙের ছাতার মতো। বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি। বলা যায় সিংহভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার সৃষ্টিতেই অবদান রাখছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর বিনিময়ে পকেট স্ফীত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসার কুশীলবদের। আলু, পিঁয়াজ, চালের দোকানের মতো বিশ্ববিদ্যালয় চালুর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চরম নৈরাজ্য। দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে। কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার প্রয়োজনীয় পরিবেশ না থাকায় বিরাজ করছে বিশৃঙ্খল পরিবেশ। ৩৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে উপাচার্য নেই। আর কোষাধ্যক্ষ নেই ৩১টিতে। শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ শীর্ষ কর্তাব্যক্তি নিয়োগে উদাসীনতা, নির্দিষ্ট সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া, ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব-মামলা, বছরের পর বছর আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অননুমোদিত কোর্স পরিচালনা করছে কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কোনো কোনোটির মালিকানা নিয়েও রয়েছে দ্বন্দ্ব। সব মিলিয়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা খাতে। সরকার চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব সিন্ডিকেটের। আর শিক্ষার্থী ভর্তি, পরীক্ষার মান উন্নয়নের দায়িত্বে একাডেমিক কাউন্সিল। সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি পদে থাকেন উপাচার্য।  উপাচার্যের পদ শূন্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কর্মকান্ড বিঘিœত হচ্ছে। দেশে উচ্চশিক্ষার বিস্তার ঘটাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিব গড়তে গিয়ে বানর গড়া হয়েছে কি না প্রশ্ন উঠছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা বন্ধে ইউজিসির হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। যথেচ্ছাচার বন্ধে নিতে হবে উদ্যোগ। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে রাখা কোনোভাবেই সংগত নয়।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর