শিরোনাম
সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন আক্রমণ-কী হতে যাচ্ছে

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন আক্রমণ-কী হতে যাচ্ছে

১৪ এপ্রিল সকালে বিশ্বের শান্তিকামী চিন্তাশীল মানুষ ঘুম থেকে উঠে চোখ মুছতে মুছতে সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরাসহ বড় বড় আন্তর্জাতিক টেলিভিশনের পর্দায় যা দেখলেন তার প্রাথমিক হতভম্বতা ও ধকল থেকে বের হয়ে পূর্ণ সম্বিতে ফেরার জন্য বেশকিছুটা সময় লেগেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে ৭ ডিসেম্বর আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপের পার্ল হারবারে জাপানি আক্রমণের পর এত বড় আকাশপথের আক্রমণ আর হয়নি। পার্ল হারবার আক্রমণে জাপানিজ ৩৫৩টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।  এবার ১৩ এপ্রিল রাতে ইরানের ৩০০ ড্রোন ও মিসাইল ১ হাজার মাইল আকাশপথ উড়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। চেষ্টা করেছে বলছি এ কারণে যে, এর বেশির ভাগই ইসরায়েল ও তার মিত্ররা পথিমধ্যে আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তাতে বোঝা যায় এমন কিছুর জন্য ইসরায়েল ও তার মিত্ররা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত ছিল। ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক অনুচ্ছেদের ন্যক্কারজনক লঙ্ঘনের মাধ্যমে ১ এপ্রিল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের দূতাবাসের ওপর ইসরায়েলের মিসাইল আক্রমণ এবং তাতে রেভ্যলুশনারি গার্ড বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সাত সদস্যসহ আরও সামরিক-বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর থেকে ইরান যখন বলেছে, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরাও ধরেই নিয়েছেন এবার ইরান আর ছাড় দেবে না। সবারই আলোচনার বিষয় ছিল- ইরানের প্রত্যাঘাত কখন, কোথায়, কী ব্যাপ্তি ও পরিমাপের হবে এবং তার প্রত্যুত্তরে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কী হবে। যুদ্ধ কি সারা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়বে, পশ্চিমা বিশ্বসহ আমেরিকার অবস্থান তাতে কী হবে ইত্যাদি। আক্রমণের নিন্দা জানালেও ইরানের পরিপক্ব চিন্তা ও সুনিপুণতা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যার কারণে ইসরায়েলের পরম মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানিয়েছেন পাল্টা কোনো আক্রমণে ইসরায়েল যেন না যায়। লক্ষণীয় বিষয়, বড় পরিমাপের আক্রমণ চালালেও ইরানও চায়নি এর ফলে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটুক। ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞরা এটা ভালো করেই জানতেন, ১ হাজার মাইল আকাশপথ অতিক্রম করতে ড্রোন ও মিসাইলের যে সময় লাগবে তার মধ্যে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা বেশির ভাগই আকাশে ভূপাতিত করতে পারবে। ধ্বংসযজ্ঞ লক্ষ্য হলে লেবাননে অবস্থিত অন্যতম মিত্র হিজবুল্লাহকে ব্যবহার করত ইরান। হিজবুল্লাহর কাছে মজুত লক্ষাধিক রকেট ও মিসাইলের অংশ বিশেষত যদি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হতো তাহলে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হতো। কারণ হিজবুল্লাহর অবস্থান লেবাননের দক্ষিণ এবং ইসরায়েলের সীমান্ত ঘেঁষে অল্প দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় নিক্ষেপিত সব রকেট ও মিসাইল আকাশে ভূপাতিত করার সুযোগ ইসরায়েল পেত না। কিন্তু বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ শঙ্কিত এই ভেবে যে, এরপর কী হতে চলেছে। ইসরায়েল কি পাল্টা আক্রমণ চালাবে এবং চালালে তার ব্যাপ্তি কেমন হবে। তাতে ইরানের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা কতখানি। ইরান ১৪ এপ্রিল সকালেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে এবারের জন্য এখানেই সমাপ্তি, তবে ইসরায়েল যদি পাল্টা আক্রমণ চালায় তাহলে ১৩-১৪ এপ্রিলের চেয়েও ভয়ংকরভাবে জবাব দেবে ইরান। ইসরায়েলের মিত্ররাও চাইছে এ মুহূর্তে যেন পাল্টা আক্রমণ না করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরান থেকে নিক্ষেপিত মিসাইল ও ড্রোনের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ ভূপাতিত করতে পারার মধ্য দিয়ে আপাতত বিজয় অর্জিত হয়েছে বিধায় এখনই আবার পাল্টা আক্রমণ নয়, বরং ইসরায়েলকে সংযম দেখাতে হবে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে তারা এর প্রতিশোধ অবশ্যই নেবে। তবে এটা কি টলটলায়মান নেতানিয়াহু সরকারের বাগ্মিতা, নাকি বাস্তব, তা নিয়ে অনেক বিচার বিশ্লেষণ আছে। পশ্চিম ইউরোপের সব দেশই ইরানি হামলার তীব্র নিন্দা জানালেও এ মুহূর্তে ইসরায়েলকে সংযম দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছে, এ মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে তারা কোনো যুদ্ধে জড়াবে না। আবার ইসরায়েল যদি নিজস্ব সিদ্ধান্তে পাল্টা আক্রমণে যেতে চায় তাহলে গালফ অঞ্চলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক ঘাঁটি বা ইউনিটের সঙ্গে একটা সমন্বয় অবশ্যই করতে হবে। আবার ইরান পাল্টা আক্রমণ চালালে এবং তাতে যদি হিজবুল্লাহ যোগ দেয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সহায়তা ছাড়া ইসরায়েলের একার পক্ষে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। বাহরাইন, কাতার, কুয়েতসহ গালফ অঞ্চলের যেসব দেশে মার্কিন সেনা ঘাঁটি রয়েছে, সেসব দেশ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওইসব ঘাঁটি থেকে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদানে তারা সম্মতি   দেবে না। তবে যত কিছুই হোক না কেন, যে কোনো পন্থা, মাত্রা ও ব্যাপ্তিতে নিজেদের শক্তিমত্তার ইজ্জত রক্ষার্থে হলেও ইসরায়েল অবশ্যই একটা পাল্টা জবাব দেবে বলেই বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন। সেটার সময়, ব্যাপ্তি ও ধরন নিয়ে নানা বিশ্লেষণ আছে। প্রথমত, সীমিত আকারে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং রেভ্যলুশনারি গার্ড বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও দফতরকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল গাইডেড মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারে। অথবা ইরানের অভ্যন্তরে ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর টপ পারমাণবিক বিজ্ঞানী মহসীন ফকিরজাদকে যেভাবে হত্যা করেছে ঠিক সেভাবেই ইরানের কোনো বিজ্ঞানী ও সেনা কমান্ডারকে গুপ্ত পন্থায় হত্যা করতে পারে। এ ব্যাপারে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সক্ষমতা সবারই জানা আছে। আরেক বিকল্প হতে পারে ইরানের প্রক্সি হিসেবে কাজ করা লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি এবং ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কুদস ফোর্সের বিরুদ্ধে ইসরায়েল বড় ধরনের আক্রমণ চালাতে পারে। তবে আমার ধারণা, ইয়েমেনের হুতি এবং ইরাক ও সিরিয়ার কুদস ফোর্সের ওপর বড় নয়, বিক্ষিত আক্রমণ চালালেও এ মুহূর্তে লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল আক্রমণে যাবে না। কারণ, হিজবুল্লাহর নিজস্ব সক্ষমতা ইসরায়েলের জানা আছে। ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর কাছেযেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছে সেটা মনে রেখেই এ সময়ে ইসরায়েল সেখানে যাবে না। আরেকটি বিকল্প বিশ্লেষণ আছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অত্যন্ত পাকা ও ঝানু খেলোয়াড়। ডানদিকে তাক করার পর বামদিকে মারতে তিনি সিদ্ধহস্ত। গাজা যুদ্ধে ঘোষিত হামাসকে নিশ্চিহ্ন ও সেখানে দখলদারিত্ব স্থায়ী করার লক্ষ্য অর্জনের পথকে সুগম করার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ১ এপ্রিল জেনেভা কনভেনশনের চরম লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের দূতাবাসের ওপর ইসরায়েল আক্রমণ চালিয়েছে। ইরানের প্রতিক্রিয়াও নেতানিয়াহুর জানা ছিল এবং এটাও জানা ছিল এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের মিত্ররা কী প্রতিক্রিয়া দেবে বা কী বলবে। তাই ইরানের পক্ষ থেকে বড় আক্রমণের পর পাল্টা-আক্রমণ নিষেধ করার বিনিময়ে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে নেতানিয়াহু মৌন সম্মতি চাইবেন যাতে গাজার রাফায় সামরিক অভিযান চালাতে পারেন এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে এবং আগামী নির্বাচনে আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। শুধু তাই নয়, নেতানিয়াহুর স্বপ্ন আরও বড়। গাজায় স্থায়ীভাবে দখলদারিত্ব বজায় রাখাসহ পশ্চিমতীরে নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের মাধ্যমে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের বাস্তবতা ও সম্ভাব্যতা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেলে নেতানিয়াহু ইসরায়েলের মানুষের কাছে চিরদিনের জন্য চেইন ওয়াইজম্যান ও বেনগুরিয়ার সমকক্ষ হয়ে ইসরায়েলের ইতিহাসে থাকবেন। গত ১৮ এপ্রিল খবরে দেখলাম পশ্চিমতীরে ৬৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা নতুন ইহুদি বসতির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে প্রায় ১ লাখ ইহুদিকে পুনর্বাসিত করা হবে, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের চরম বরখেলাপ। এভাবে ৭৫ বছরে পশ্চিমতীরে নতুন নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের ফলে প্যালেস্টাইনে রাষ্ট্রের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হতে থাকায় গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করে যার সবকিছু মানবিক বিচারে সমর্থনযোগ্য নয়। এই সুযোগটিই নিয়েছে  নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থি সরকার। কিন্তু বিশ্বের জনমত এখন চরমভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। তাই অতিউচ্চ আকাক্সক্ষা নেতানিয়াহুর জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে এ মুহূর্তে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের ভাবনা, কোনো পক্ষের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে, অথবা বিচার বিশ্লেষণে ভুলের কারণে ইরান-ইসরায়েল পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বেধে গেলে তা পুরো বিশ্বের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের চেয়েও বড় বিপদ ডেকে আনবে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে স্থলসীমান্ত নেই। সুতরাং যুদ্ধ বেধে গেলে তা হবে আকাশ ও নৌপথের যুদ্ধ এবং তাতে সাইবার জগৎও হবে বড় যুদ্ধক্ষেত্র। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ হলে ইয়েমেনের হুতি বাহিনী ইরানের পক্ষে যুদ্ধে নামবে। তার মধ্য দিয়ে বিশ্বের দুই লাইফলাইন জলপ্রণালি লোহিত সাগর ও হরমুজ প্রণালি একই সঙ্গে বিপজ্জনক যুদ্ধ জোনের মধ্যে পড়ে যাবে। তাতে জ্বালানিসহ বিশ্বের সাপ্লাই চেইন মহাসংকটে পড়বে। ১৯৭৯ সালে ঘটা ইসলামিক বিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত ইরান-ইসরায়েল ছিল হরিহর আত্মা। কিন্তু বিপ্লবের পর সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে যায়। তাই ইরানের ইসলামিক বিপ্লব কর্তৃপক্ষ নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান নিয়ে আছে। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়া যেভাবে শক্তিহীন হয়ে গেছে। সেরকম পরিস্থিতিতে পড়ার শঙ্কা ইরানের নেই। ইরানে চীন-রাশিয়ার বিপুল বিনিয়োগ থাকায় বৈশ্বিক শক্তিবলয়ের মেরুকরণেও ইরান বন্ধুহীন নয়। অন্যদিকে একসময়ে আরব দেশগুলো ইরানকে যেভাবে শত্রু মনে করত সেরকম পরিস্থিতিও এখন নেই। সম্প্রতি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়ায় দৃশ্যটি আরও বদলে গেছে। সৌদি আরবের মৌন সম্মতিতে ১৯৮১ সালে রাতের অন্ধকারে যেভাবে ইরাকের পরমাণু রিঅ্যাক্টর ধ্বংস করা হয়, সেরকম দিন ইসরায়েলের জন্য আর আসবে না। তাই যুদ্ধ বাধলে তা একতরফা হবে না, এ কথা সবাই জানে। সুতরাং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য আগের চেয়ে ভারসাম্য এখন অনেক বেশি। যুদ্ধের বিস্তৃতি ঠেকাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে অকস্মাৎ বড় কিছু ঘটে যাওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েল ইরানের ইস্পাহান শহরের কাছে সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে তিনটি মিসাইল ছোড়ে। ইরান বলেছে, তিনটি মিসাইল তারা আকাশে ভূপাতিত করেছে। এই লেখাটি যখন শেষ করছি (শুক্রবার বিকাল) তখন পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে আবার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে অথবা ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়নি। শান্তিকামী মানুষ আশা করছে সব পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর