সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু টেস্ট কিট

প্রাণ বাঁচাবে সাশ্রয় হবে অর্থ

বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক। এডিস মশার কামড়ে মানুষ আক্রান্ত হয় ডেঙ্গু নামের ভয়াবহ জ্বরে। এতে প্রাণহানির শিকার হয় অনেকে। আক্রান্তদের অনেকে প্রাণে বাঁচলেও দীর্ঘকালীন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়। ডেঙ্গুজ্বরে প্রতি বছর যত লোক আক্রান্ত হয় তার একটা ক্ষুদ্র অংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রতি বছর ডেঙ্গু আতঙ্কে কয়েক লাখ মানুষ জ্বর হলেই চিকিৎসক এবং তাদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয় রক্ত পরীক্ষার জন্য। শত শত কোটি টাকা খরচ হয়। আশার কথা- সহজে ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) ডেঙ্গু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট তৈরি করেছে। এই কিট ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়। বিআরআইসিএম যে কিট তৈরি করেছে সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা। কভিড-১৯সহ অন্যান্য পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের সাহায্যে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু ডেঙ্গু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ জনবলের সাহায্য ছাড়াই ঘরে বসেই আঙুলের ডগায় রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব। ডেঙ্গু টেস্ট কিট উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তারা প্রতিদিন ৫০ হাজার কিট তৈরি করতে প্রস্তুত। গত ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট কেনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেশে ডেঙ্গু টেস্ট কিট উদ্ভাবন ও উৎপাদন শুরুর ঘটনা নিঃসন্দেহে একটি সুসংবাদ। এটি লাখ লাখ মানুষের পকেট কাটা বন্ধে ভূমিকা রাখবে। কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অতি সহজে এবং সাশ্রয়ী খরচে জানার সুযোগ পাবে। আমরা আশা করব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে এ ব্যাপারে উৎসাহ দেখাবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর