শিরোনাম
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

বেহাল শেয়ারবাজার

দুর্বল কোম্পানিগুলোকে বাদ দিন

লাগাতার দরপতনে শেয়ারবাজার বেহাল হয়ে পড়েছে। বছরের পর বছর ধরে যে অস্থিরতা চলছে এ বাজারে তারই অনিবার্য পরিণতি এ বেহাল অবস্থা। একের পর এক দুর্বল কোম্পানি মিথ্যা তথ্য এবং বাড়তি হিসাব দিয়ে কর্তৃপক্ষীয় যোগসাজশে তালিকাভুক্ত হয়েছে শেয়ারবাজারে। পুঁজিবাজার থেকে অর্থ লুণ্ঠন করে নিজেদের লাভবান করেছে তারা। নির্মমভাবে ঠকিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। আর্থিক খাতের কিছু দুর্বৃত্তের কারণে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে শেয়ারবাজার। অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করে লাভ দূরের কথা নিজেদের মূলধনও বাঁচাতে পারছে না। গত কয়েক মাস একটানা দরপতন চলছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নানা উদ্যোগের পরও অস্থিরতা কাটেনি। অব্যবস্থাপনার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের। ব্যাংকিং মার্জার, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, ডলারসহ নানামুখী সংকটের প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজার। অব্যাহত দরপতনে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পতন ঠেকানোর কোনো উপায় তো মিলছে না বরং দিন যত যাচ্ছে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে যাওয়া এবং কারসাজি চক্রের দৌরাত্ম্য-সব মিলিয়ে শেয়ারবাজারের বেহাল অবস্থা। বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে সাড়ে ১১ শতাংশ হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা সেদিকে ঝোঁকাকে নিরাপদ মনে করছেন। বাজারে সাপোর্ট দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনও টাকার অভাবে পড়েছে। শেয়ারবাজারে যে ভয়াবহ সংকট চলছে তাতে অবশ্য আশার বাণী শোনাচ্ছেন কর্তাব্যক্তিরা। তারা স্বপ্ন বিলাচ্ছেন, অন্যান্য আর্থিক খাতের মতো শেয়ারবাজারেও সুদিন আসবে। কিন্তু মিষ্টি কথায় বিনিয়োগকারীদের চিড়া ভিজছে না। আমাদের মতে, সব দুর্বল কোম্পানিকে অতি দ্রুত শেয়ারবাজার থেকে হঠাতে হবে। পাশাপাশি বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্তি করা গেলে আস্থার সংকট কেটে যাবে। বেঁচে যাবেন বিনিয়োগকারীরা। নিরস্ত হবে নেপথ্যের লুটেরারা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর