শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সমস্যা

স্বদেশে প্রত্যাবর্তন একমাত্র সমাধান

যুদ্ধ মানব জাতির জন্য ডেকে আনে বিপর্যয়। আর শান্তি ডেকে আনে সমৃদ্ধি। ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে দুনিয়ার প্রথম যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইরাকের এক নদীর পানির অধিকারকে কেন্দ্র করে দুই নগররাষ্ট্রের মধ্যে। হাজার হাজার বছর আগে সে যুদ্ধে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল দুই দেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে মানব জাতির কী সর্বনাশ ঘটেছে তা আমাদের অজানা নয়। সাম্প্রতিককালের রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে গভীর সংকটে ফেলেছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বিশ্বের এক প্রাচীন জাতিগোষ্ঠীর নিধনযজ্ঞ শুধু নয়, বিশ্বশান্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। হুমকি মোকাবিলায় যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আসিয়ানকে মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে রোহিঙ্গারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে যেন স্থায়ীভাবে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। তাদের সংকটের উৎস মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু বাংলাদেশে পালিয়ে গেলে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়। এটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও বিলম্বিত হচ্ছে। এটি আমাদের অঞ্চলের ভিতরে এবং এর বাইরে মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে তার অভিন্ন শত্রু দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে যুদ্ধকে না বলা এবং রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের যে আহ্বান জানিয়েছেন তা প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ ব্যাপারে বিশ্বসমাজকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর