শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজায় নৃশংসতা

সোচ্চার হতে হবে বিশ্ববাসীকে

মানব সভ্যতায় ইহুদিদের অবদান অনস্বীকার্য। পৃথিবীর প্রথম আইন প্রণয়ন হয়েছিল ইহুদি সমাজে। জ্ঞানবিজ্ঞানে তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। সভ্যতার সূচনায় হজরত মুসা (আ.), ইয়াকুব (আ.)সহ বেশ কয়েকজন মহাপুরুষ মানব জাতিকে ন্যায়পরায়ণতার যে শিক্ষা দিয়েছেন তা পদতলে পিষছে ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসকরা। গাজায় তারা যে গণহত্যা চালিয়েছে তা মানব সভ্যতার জন্য কলঙ্কজনক। ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পর গাজার নাসের এবং আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় মিলতে শুরু করেছে ইসরায়েলি পৈশাচিকতার প্রমাণ। মিলেছে একাধিক গণকবর। সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে শত শত ফিলিস্তিনির লাশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রধান উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘হতবাক’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ সপ্তাহে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবরে শত শত লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে। এখন নাসেরসহ আল শিফা হাসপাতালেও এমন গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গাজার হামাস পরিচালিত সিভিল ইমারজেন্সি সার্ভিস বলেছে, নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৩১০টি লাশ পাওয়া গেছে। আরও দুটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। তবে সেগুলো এখনো খনন করা হয়নি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, গাজার গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন করা হয়েছে। উদ্ধার মৃতদেহের নমুনা দেখে এমনটাই ধারণা পাওয়া গেছে। গণকবর থেকে অন্তত ১০টি মৃতদেহ হাতবাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মানির নাৎসিরা লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিল। নাৎসিবাদ দুনিয়াজুড়ে ঘৃণ্য মতবাদ হিসেবে চিহ্নিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদীরা ঘৃণ্য নাৎসিদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গাজায় তারা যে নৃশংস আচরণ করছে তা যেন নাৎসিদের পুনরাবৃত্তি। এ নৃশংসতা থামাতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে, আরও সর্বনাশের আগেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর