সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

উপজেলা নির্বাচন

সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর হোন

নির্বাচন হলো গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের উৎসব। যে উৎসবের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচন থেকে স্থানীয় নির্বাচন ক্রমান্বয়ে ভোটারদের বদলে সন্ত্রাসীদের উৎসবে পরিণত হচ্ছে। যে কারণে নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কমছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বর্জনের পথ বেছে নেয়। ক্ষমতাসীন দল এ প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলায় দলের ঘোষিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেউ স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না এমন ঘোষণা দেয়। তারপরও সে নির্বাচনে সন্ত্রাস এড়ানো সম্ভব হয়নি। একতরফা নির্বাচনেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যে অনেক স্থানে হানাহানি শুরু হয়ে গেছে। মেহেরপুরে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে মহাজনপুর গ্রামে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় হাতবোমা বিস্ফোরণে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার। গণতন্ত্রচর্চা ও উন্নয়ন দুই ক্ষেত্রেই অবদান রাখতে পারে উপজেলা পদ্ধতি। কিন্তু দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতিতে কে রাজনীতিক আর কে সন্ত্রাসী তা বহু ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশনকে তাই সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে। কাজের মাধ্যমে সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর