শিরোনাম
সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

শেয়ার জালিয়াতি

বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে

শেয়ারবাজারে লাগাতার দরপতনে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বছরের পর বছর ধরে অস্থিরতা চলছে শেয়ারবাজারে। একের পর এক দুর্বল কোম্পানি মিথ্যা তথ্য এবং বাড়তি হিসাব দিয়ে কর্তৃপক্ষীয় যোগসাজশে তালিকাভুক্ত হয়েছে শেয়ারবাজারে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুণ্ঠন করে নিজেদের লাভবান করেছে তারা। আর্থিক খাতের কিছু দুর্বৃত্তের কারণে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে শেয়ারবাজার। দুর্বল কোম্পানিগুলোর জাল-জালিয়াতি সর্বনাশ ডেকে আনছে শেয়ারবাজারে। বিগত কয়েক বছরে পরিকল্পিতভাবে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানি এখন দেশের দুই শেয়ারবাজারের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলোর কোনো কোনোটি বছরের পর বছর উৎপাদনে না থাকলেও তার শেয়ারের দর বেড়েই চলেছে রহস্যজনকভাবে। ওইসব কোম্পানির পরিচালকরা নিজেরাই শেয়ার কারসাজিতে জড়িত। ছোট মূলধনি হওয়ায় এসব কোম্পানি ঘিরে শেয়ারবাজারে তৈরি হয়েছে কারসাজি চক্র। মূলত এসব সিন্ডিকেট ছোট ছোট কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছে। অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করে লাভ দূরের কথা নিজেদের মূলধনও বাঁচাতে পারছেন না। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নানা উদ্যোগের পরও অস্থিরতা কাটেনি। বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে সাড়ে ১১ শতাংশ হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার বদলে ব্যাংকে টাকা রাখা লাভজনক ও নিরাপদ মনে করছেন। শেয়ারবাজারে যে ভয়াবহ সংকট চলছে তাতে অবশ্য আশার বাণী শোনাচ্ছেন কর্তাব্যক্তিরা। তারা স্বপ্ন বিলাচ্ছেন, অন্যান্য আর্থিক খাতের মতো শেয়ারবাজারেও সুদিন আসবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে এসব বাতচিত কাজে হবে না। আমাদের মতে, সব দুর্বল কোম্পানিকে অতি দ্রুত শেয়ারবাজার থেকে হটাতে হবে। পাশাপাশি বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্তি করা গেলে আস্থার সংকট কেটে যাবে। তবে সবকিছুর আগে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর