বুধবার, ১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

উপজেলা নির্বাচন

নির্বাচন কমিশনকে সক্ষমতা দেখাতে হবে

উপজেলা নির্বাচন কতটা সুষ্ঠুভাবে হবে তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্সের কথা বলছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের নাক গলানো সহ্য করা হবে না। কিন্তু এগুলোকে কথার কথা বলে ভাবছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। নির্বাচন কমিশন ও সরকার ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনে জোর যার মুল্লুক তার নীতি বরদাস্ত না করার প্রমাণ রেখেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতন চালানোর দায়ে এক প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। অপহৃত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। তারপরও উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন থামছে না। আচরণবিধি অনুযায়ী মন্ত্রী-এমপিরা প্রচারসহ কোনো নির্বাচনি কাজে অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আসছে নির্বাচন কমিশনে। মন্ত্রী-এমপিরা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে অনেকেই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। প্রার্থীদের অভিযোগ- নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয় না। কমিশন তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। এবার চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রথম ধাপের নির্বাচন ৮ মে। এ ধাপে ভোট হবে ১৪৮ উপজেলায়। গতকাল ছিল দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলায় ভোট। তৃতীয় ধাপে ভোট হবে ২৯ মে ১১২ উপজেলায়। সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে নানা ধরনের চাপের সম্মুখীন হয়েছেন অনেক প্রার্থী। এ চাপ অগ্রাহ্য করে যারা নির্বাচনে আছেন তারা সুষ্ঠুভাবে ভোট হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত। নির্বাচন হলো গণতান্ত্রিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের উৎসব। সন্ত্রাস ও হুমকি-ধমকির অবকাশ কোনো নির্বাচনে থাকার সুযোগ নেই। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাদের নোখর ভাঙতে নির্বাচন কমিশনকে সক্ষমতা দেখাতে হবে।

সর্বশেষ খবর