মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মৌলিক শিক্ষার ধাপ

সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত অভিনন্দনযোগ্য

মৌলিক শিক্ষার ধাপ পঞ্চম শ্রেণির বদলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে কাজ করবে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে নিম্নমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার শিক্ষানীতি ২০১০-এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় শিক্ষার হার ছিল নগণ্য। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার পূরণে স্বাধীনতার পর শূন্য হাতেই নেওয়া হয় একের পর এক বৈপ্লবিক কার্যক্রম। প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়। দেশে এখন শিক্ষিতের হার প্রায় ৭৭ শতাংশ। এটি সম্ভব হয়েছে শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণে। বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষা খাতবিশিষ্ট ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার মৌলিক ধাপ পঞ্চম শ্রেণির বদলে অষ্টম শ্রেণিতে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষার পর শিক্ষার্থী ঝরে যাওয়ার প্রবণতায় কিছুটা হলেও বাদ সাধবে। এটি একটি প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত হলেও তা সফল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও যত্নবান হতে হবে। বিনামূল্যে শিক্ষা এবং পাঠ্যবই দিলেই শুধু চলবে না, কোচিং ছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে বিদ্যালয়েই পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে বাংলাদেশের মতো কোচিং কিংবা নোটবইয়ের উৎপাত আছে বলে আমাদের জানা নেই। যা শিক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে এবং শিক্ষার্থীদের ঝরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। এদিকেও নজর বাড়াতে হবে তীক্ষ্ণভাবে।

সর্বশেষ খবর