শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইসরায়েলি হামলা

বিশ্ব বিবেক চায় ধৃষ্টতার অবসান

ফিলিস্তিনিদের দুঃখের যেন শেষ নেই। নিজ বাসভূমে তারা কোণঠাসা, নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, বন্দিদশায়। স্বার্থ ও বাণিজ্যের নানা মেরুকরণে বিভক্ত বিশ্ব আজও এর একটা সর্বজনগ্রাহ্য সমাধান দিতে পারেনি। এই কদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভে এবারও বঞ্চিত হলো ফিলিস্তিন। সেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলছে যুদ্ধ। আগ্রাসী ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রধানত নারী-শিশুসহ প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচার হামলার মুখে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ ফিলিস্তিনি সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে ঠাঁই নেয় রাফায়। অতি ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকাতেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। প্রাণ বাঁচাতে এখন সেখান থেকে পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বের শান্তিকামী সুচিন্তার মানুষ পথে নেমেছে। দেশে দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে তরুণ সমাজ। বাংলাদেশেও সংক্ষুব্ধ কোটি কোটি মানুষ। পথে নেমেছে ছাত্র-জনতা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বলেছে, রাফায় হামলা না চালাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি সব ধরনের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তা মানা হয়নি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অনেকটা অসহায়ের মতো বলেছেন, রাফায় ইসরায়েলি হামলা বিপর্যয়ের শামিল। এই হামলার প্রতিক্রিয়া গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এসবের মধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে গাজায় যুদ্ধ বিরতি ও জিম্মি মুক্তির নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। কিন্তু যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মনঃপূত হয়নি জানিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাহলে এ নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের শেষ কোথায়? এ কি চলতেই থাকবে? গোটা পৃথিবীর সামনে তিলে তিলে নিঃশেষ হতে থাকবে ফিলিস্তিনিরা? বিশ্ব বিবেক ইসরায়েলি ধৃষ্টতার অবসান চায়। পৃথিবীর সচেতন শান্তিকামী সব মানুষ চায় শান্তি স্বস্তি নিরাপত্তা আসুক ফিলিস্তিনিদের জীবনে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর