শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনি হানাহানি

কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়

স্থানীয় সরকার মানেই তৃণমূল মানুষের সরকার। স্বভাবতই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট প্রার্থী ও ভোটারের মধ্যে দূরত্ব কম থাকে। তারা পরস্পরের পরিচিত, অন্তত মুখচেনা। জাতীয় নির্বাচনের বৃহত্তর পরিসরে যেটা সম্ভব হয় না। তা সত্ত্বেও বুধবার উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে হামলা, গুলি, সংঘর্ষ, জাল ভোট, কারচুপি, ভোট বর্জনের মতো ঘটনা ঘটল। যা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাক্সিক্ষত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম বলে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়ার পক্ষে যে সাফাই গেয়েছেন তা সর্বাংশে গ্রহণযোগ্য নয়। নানা কারণে মানুষ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়েছে। বেশকিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা বর্জনের ডাক দিয়েছে। একতরফা নির্বাচনেও সহিংসতা দানা বেঁধে ওঠা অনভিপ্রেত। এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের মহান ব্রত হওয়া উচিত জনপ্রতিনিধিদের। সেই পদ লাভ করতে এত কূটকৌশল, টাকার ছড়াছড়ি, সন্ত্রাস ও অস্ত্রের ঝনঝনানি কেন? কারণ, এই পদ পাওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তির বিশাল প্রাপ্তি ও অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তা প্রধানত অবৈধভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এজন্যই জাল ভোট, কারচুপি, হামলা, ভাঙচুর, কেন্দ্র দখলের প্রবণতা গড়ে উঠছে। এসব ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী-এমপিদের অন্যায় অনুরোধ-নির্দেশ উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির বেশ কজন নেতাও নির্বাচিত হয়েছেন। এসব প্রার্থীর কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ না হলে এই ফল আশা করা যেত না। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনেক আসনে এমন চমকপ্রদ ফলাফল হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করছে, স্থানীয় প্রশাসনও সুষ্ঠু ভোটে ফিরতে চাচ্ছে। এ চাওয়াটাকে নির্বাচনি বিধিবিধানের কঠোরতায় বেঁধে ফেলতে হবে। সামান্য অনিয়মে ভোট বন্ধ, তাৎক্ষণিক শাস্তি, জেল-জরিমানা করতে হবে। তাহলেই পর্যায়ক্রমে সুষ্ঠু ভোটের ধারা ফিরে আসবে।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর