গত বছর ৪ মার্চ ছোট ভাই ইকবাল সিদ্দিকীর আকস্মিক মহাপ্রয়াণে তার প্রতিষ্ঠিত ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতির দায়িত্বভার অনিচ্ছাতেও গ্রহণ করেছিলাম। এবার ১২ মে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। ১২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২৩ জনই পাস করা এবং ৮৫ জনের জিপিএ-৫ পাওয়া এক অবিস্মরণীয় সাফল্য। আমি এজন্য ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকেসহ প্রিয় শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তারা যেন ভবিষ্যৎ জীবনে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সেবা করতে পারে। আমরা ১৯৪৮ সালের দিকে টাঙ্গাইল এসেছিলাম। তখন আমি কোলে। এরপর আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি। টাঙ্গাইল আর ছাতিহাটি মায়ের কোলে যাতায়াত করতাম। তারপর হয়তো ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি, নৌকায় আসা-যাওয়া হতো। ছাতিহাটি থেকে নৌকায় বল্লা, সিঙ্গাইর, হাসড়া, রোয়াইল ছাতিহাটি, গোলড়া, পাইকরা, সুরুজ, ঘারিন্দা হয়ে সাবালিয়া এসে নৌকা থেকে নামতাম। বর্ষার ৪-৫ মাস নৌকাতে, তারপর কয়েক মাস কাদাপানি, এরপর গাড়ি-ঘোড়া। এক ঘোড়ার টমটম অথবা গরুর গাড়ি- এই ছিল যাতায়াতের বাহন। টাঙ্গাইলের আকুরটাকুর পাড়ায় আমাদের বাড়ি। শুনেছি বাবা মৌলভী মুহাম্মদ আবদুল আলী সিদ্দিকী ৮০১ টাকায় ১২ ডিসিমেলের টাঙ্গাইলের বাড়িটি কিনেছিলেন। পরে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিমে কিছু জায়গা কেনায় এখন আমাদের বাড়ির সীমানা ৮০-৮৫ শতাংশ। ওই বাড়িতেই আমরা মোটামুটি বড় হয়েছি। প্রথম যে বাড়িতে উঠেছিলাম সেটা ছিল চমৎকার মাটির দেয়ালের মনিপুরি ঘর, একেবারে দালানের মতো। কিন্তু ’৬২ সালের বন্যার পর ঘরের সব দেয়াল ভেঙে যায়, একেবারে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি। ছেলেবেলায় একেবারে ডানপিটে ব-কলম ছিলাম, লেখাপড়া মাথায় ঢুকত না। আমার লেখাপড়ার হাতেখড়ি অ আ ক খ কেউ শিখিয়ে ছিল কি না বলতে পারব না। কারণ আমার জীবন গুরুহীন শুরু। মনে হয় গুরুহীনই এ জগৎ সংসার থেকে চলে যাব। কিন্তু অনেকের সান্নিধ্যও পেয়েছি, ভালোবাসা পেয়েছি অফুরন্ত। বিশেষ করে আমার মতো একজন অতি সাধারণ নাদানকে এ পর্যায়ে এনেছে সাধারণ মানুষের ¯ন্ডেœহ ভালোবাসা। অনেকেই আমাকে হিংসা করে, ক্ষতি করার চেষ্টা করে, অপমান-অপদস্থ করে। ক্ষমতাবানদের চোখে আমি সব সময়ই শত্রু। তাই আমার পবিত্রতা নিয়ে কখনো কোনো সন্দেহ জাগে না। সাধারণ হতদরিদ্র মানুষ ফকির মিসকিন, তারা যে কী ভালোবাসে, তাদের ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষমতা আমার নেই। তাই ইদানীং পাথরের আঘাতও আমাকে আহত করে না। সারা জীবন কোনো ফলের প্রত্যাশা না করে শুধু আল্লাহকে হাজির- নাজির জেনে সামনের দিকে পা ফেলেছি। অনেক আঘাত পেয়েছি; কিন্তু কেউ কখনো পা টলাতে পারেনি। কেন যেন কীভাবে কীভাবে ধ্বংস হয়ে যাইনি, বিলীন হয়ে যাইনি। কোনো না কোনোভাবে দাঁড়িয়েই আছি। তাই স্রষ্টাকে অবলম্বন করে ভরসা করে যেভাবে জীবন শুরু করেছিলাম শেষও সেভাবেই করতে চাই। কোনো দুর্বলতা, কোনো লোভ-লালসায় জীবন কালিমাযুক্ত হোক এ আমি চাই না। বর্তমান অবস্থার সঙ্গে অনেক সময়ই আমার মিলে না, কষ্ট হয় খারাপ লাগে। তবু অন্যায়ের সঙ্গে সমঝোতা করতে চাই না। ভুল-ভ্রান্তি এখনো হয়; কিন্তু জেনেশুনে কোনো অন্যায় করতে চাই না, করি না। এতে লাভবান না হয়ে যদি ক্ষতিগ্রস্ত হই তাতেই খুশি। সেটাকেও সানন্দে স্বীকার করে নিতে কোনো সংকোচবোধ করব না।
বেশ কিছুদিন ধরে ছেলেবেলার এক ঘটনা নিয়ে একটি লেখা দেওয়ার খুব চাপাচাপিতে আছি। সেটা সেই ’৬২ সালের কথা। বয়সের দিক থেকে তখন আমি অনেকটাই সাবালক। কিন্তু খুব সম্ভবত লেখাপড়ার দিক থেকে নাবালক পিছিয়ে পড়া। কারণ আমি এত পন্ডিত ছিলাম যে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে ১১ স্কুল অদলবদল করেছি। প্রাইমারি ১১ স্কুল, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে মেট্রিক তাও ৭ স্কুলের কম না। তাই বেশ বয়োজ্যেষ্ঠ হয়েই কলেজে গিয়েছিলাম। অন্য ছাত্রের চেয়ে সব সময় আমার বয়স থাকত ৭-৮ বছর বেশি। কিন্তু বুদ্ধিসুদ্ধি ছিল সবার থেকে কম। এক হাবাগোবা ধরনের বোধ বিবেচনাহীন মানুষ নামের অপদার্থ। সারা দিন ছোটাছুটি করতাম, তাতে অন্যের বিরক্তির উদ্বেগও হতো; কিন্তু নিজে বুঝতাম না। বাড়িতে গরু-ছাগল ছিল। দেখাশোনার জন্য তোমেজ নামের এক রাখাল ছিল। তার সঙ্গেই ঘোরাফেরা করতাম বেশি। সে আমাকে মিঞাভাই বলে ডাকত। মনে হতো কত আপন। পাড়ার বাচ্চারা খুব ভালোবাসত। দুষ্টকে কে না ভালোবাসে? গাছের আম, জাম, কাঁঠাল, নারিকেল পেড়ে দিতে বললে আমার থেকে যোগ্য ভালো কেউ ছিল না। তাই অপদার্থ হলেও বেশি প্রিয়তা ছিল। পাড়ার ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুম থেকে ওঠেই দৌড়াদৌড়ি, বিকালে খেলাধুলা, শরীরচর্চা। লেখাপড়া কিছু না জানলেও পাড়ার ক্লাব এবং লাইব্রেরি গড়ে তোলার চেষ্টায় ছিলাম অগ্রগামী। ‘আল হেলাল ক্লাব’ নামে আমরা একটা ক্লাব করেছিলাম। কোনো কাজ না থাকলে বিকালে সারা পাড়ায় চোর-পুলিশ, ডাকাত-পুলিশ খেলতাম। কত জায়গায় যে কতভাবে পালাতাম তার কোনো হিসাব ছিল না। আমাদের পাড়ায় ছিল কুমুদিনী মহিলা কলেজ, আমাদের বাড়ি থেকে ১০০ গজের মধ্যে। সেখানে ছিল কালীদাস রায়ের একতলা পাকা বাড়ি। পিটিআই ইনস্টিটিউট। সেখানে রমেশ বোসের আরেকটি একতলা পাকা দালান। এই ছিল আমাদের এলাকার দালানকোঠা। এ ছাড়া ভূঞাবাড়ি একটি দালান, শহরে ঘ্যাঘের দালান, রেনু চৌধুরীদের ২-৩টি দালান এবং টাঙ্গাইল এসডিও কোর্টসহ ৬-৭টি পাকা ইমারত। এই ছিল টাঙ্গাইলের দালানকোঠা। এখন তো চারদিকে লাখো ইমারতের ছড়াছড়ি। আমাদের বাড়ির কাছে কুমুদিনী কলেজের সামনে হায়দার মোহন খাঁর বাড়ি। অন্যরা বলত হিন্দুদের বাড়ি দখল করেছে। তার পাশেই ছিলেন ভূপেন কবিরাজ। সে বাড়িও কে কে যেন দখল করেছে। তাদের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে জুট অফিস স্থাপন করা হয়েছিল। আমরা তেমন বুঝতাম না। শত শত লোকজন আসত-যেত। পাট বেচাকেনার জন্য সেখান থেকে লাইসেন্স দেওয়া হতো। ১২ টাকা ট্রেজারি চালান দিয়ে লোকজন লাইসেন্স নিতেন। আমাদের কাছে মনে হতো সেটা যেন কত বড় অফিস। এখন বুঝি একটা মহকুমা পর্যায়ে জুট ইন্সপেক্টর একটা সেকশন অফিসারেরও নিচে। কিন্তু আমাদের কাছে তখন সেটা বিরাট কিছু মনে হতো। পাড়ার অনেক ছেলেমেয়ে আল হেলাল ক্লাব নিয়ে ছোটাছুটি করতাম। কখনো-সখনো চাঁদা তুলতাম আট আনা, এক টাকা, দুই টাকা- এই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। প্রায় জায়গায়ই যার কাছে যা চাইতাম মোটামুটি পেতাম। কেউ কেউ আবার বিশ্রী ব্যবহার করত। পাড়ায় জুট অফিসে বাস করতেন জুট ইন্সপেক্ট, তার নাম নির্মল কুমার সাহা, বাড়ি মুকসুদপুরের বনগ্রাম। তার ছোট ভাই বিজন কুমার সাহা কানু আমাদের সঙ্গে খেলাধুলা এবং ছোটাছুটি করত। বেশ ভালো ছেলে। আমার থেকে ৪-৫ বছরের ছোট। কীভাবে কীভাবে যেন ওদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক হয়ে যায়। ’৬২ সালে আইয়ুব খান তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। একদিন বিকালে খেলছিলাম। শুনলাম জুট ইন্সপেক্টরের বাড়িতে মন্ত্রী আসবেন। ওর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছিলাম। সেটা ’৫৭ অথবা ’৫৮ সালের কথা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আর কুমুদিনী কলেজের প্রিন্সিপাল নার্গিস হামিদ কোরায়শী ছিলেন তার পরিচিত। ’৫০-এ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময় আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা থেকে পালিয়ে কলকাতা এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সময় টাঙ্গাইলের রনদা প্রসাদ সাহা কুমুদিনী কলেজের জন্য একজন প্রিন্সিপাল খুঁজছিলেন। সোহরাওয়ার্দী সাহেবই আমার শাশুড়ি নার্গিস হামিদ কোরায়শীকে টাঙ্গাইল এসে কুমুদিনী কলেজের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই সুবাদে আমার শাশুড়ি ’৫১ সালের কোনো একদিন টাঙ্গাইল এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তখন কুমুদিনী মহিলা কলেজ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে একমাত্র মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই ’৫৭ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে একবার টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজে এসেছিলেন। কলেজের সামনের আঙিনা গাড়িঘোড়া, দারোগা-পুলিশে ভরে গিয়েছিল। সেই প্রথম মন্ত্রী দেখা। আর দ্বিতীয়বার সামনে থেকে আইয়ুব খানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ভবানী শংকর বিশ্বাসকে দেখেছিলাম। সেটা এক মজার ঘটনা, মজার ইতিহাস। আমাদের আল হেলাল ক্লাবের ২০-২৫ জন কিচিরমিচির করতে করতে জুট ইন্সপেক্টর নির্মল সাহার অফিসের সামনে হাজির। অনেক দারোগা পুলিশ অনেক লোকজন। এখনকার মতো তখন মাননীয় মন্ত্রীরা অত সস্তা ছিলেন না। তখন তাদের কোহিনুর হীরার মতো দাম। লোকজনও ভীষণ সম্মান করত, প্রশাসনের লোকেরা তটস্থ থাকত। এরকম এক সময় আমরা প্রায় ২০-২৫ জন অফিসের সামনে কিচিরমিচির করছিলাম। দারোগা পুলিশ বাধা দিচ্ছিল, মন্ত্রীকে বিরক্ত করা যাবে না। নির্মল সাহা তো পাড়ার বাচ্চাদের আচরণে যারপরনাই বিরক্ত। তার ছোট ভাই বিজনকে নানাভাবে শাসাচ্ছিলেন। এভাবে প্রায় ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেছে। আমরা কথা বলতে চাই, মন্ত্রীর কাছে ১০ টাকা চাঁদা চাই এই হুজ্জুতি চলছে তো চলছেই। হঠাৎই ২-৩ জন ছুটে এসে আমাদের বললেন, ‘এই গোলমাল করো না, শান্ত হও। তোমরা কী চাও? মাননীয় মন্ত্রী তোমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।’ আমরা খুব খুশি হলাম। আরও জোরে হইহই করে উঠলাম। তারা আমাদের থামিয়ে চলে গেলেন। ৪-৫ মিনিটের মধ্যে আমাদেরকে মন্ত্রীর সামনে নিয়ে গেলেন। আরও ছিল বেশ কয়েকজন। মন্ত্রীকে দেখে আমাদের ভালোই লাগল। তেমন সবল হোমরাচোমরা চেহারা না, একেবারে অতি সাধারণ দেখতে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কেন এসেছ? আমি ছিলাম হালকা-পাতলা তালপাত সিং। গায়ে-গতরে মাংস ছিল না। লম্বায় তখনই হয়তো সাড়ে ৫ ফুট। বাকিরা চার-সাড়ে চার ফুট। আমরা হইচই করে বলে উঠলাম, পাড়ায় ক্লাবের জন্য চাঁদা চাই। তিনি বললেন, কয় টাকা? ২-৩ জন বলল ১০ টাকা, কেউ বলল, না না ২০ টাকা, কেউ আবার ১৫ টাকা। এ নিয়ে তর্ক বেঁধে গেল। মাননীয় মন্ত্রী, মন্ত্রীর মতো বললেন, তোমরা তর্ক কর না। এক কাজ কর, তোমাদের রসিদ বই আছে? টাকা নেওয়ার রসিদ বই? আমার বন্ধু বাবর, তার হাতে ছিল রসিদ বই। সে তা উঁচু করে দেখাল। মাননীয় মন্ত্রী বললেন, ঠিক আছে। কয় টাকা চাঁদা চাও লিখে দাও। আবার ১০ টাকা, ১৫ টাকা, ২০ টাকা, ২৫ টাকা- কয় টাকা লিখবে। শেষে কবি সায্যাদ কাদির বাবর গজগজ করে ২০ টাকা লিখে স্লিপটা খুব সম্ভবত জজ ভাইয়ের হাতে দিয়েছিল। আজিজুল হক জজ ছিলেন আমাদের মধ্যে সব থেকে বয়সী। একেবারে পাকিস্তানের জনক কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মতো হালকা-পাতলা। স্লিপটা শ্রী ভবানী শংকর বিশ্বাসের হাতে দিতেই ঝকঝকে লেখা দেখে অবাক হয়ে বললেন, এটা কার লেখা? বাবরকে সামনে ধরা হলো। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বেটেখাটো বাবরকে দেখে মাননীয় মন্ত্রী বললেন, এই ছোট্ট ছেলের এত সুন্দর লেখা। এই তুমি কোন ক্লাসে পড়? মাননীয় মন্ত্রী হয়তো ভেবেছিলেন বাবর ফোর-ফাইভের ছাত্র হবে। বলল, ক্লাস টেনে। বাবরের মতো তুখোড় ছাত্র হয় না। বাবর তখন ক্লাস টেনের ছাত্র। আমি খুব সম্ভবত সেভেনে পড়তাম। আমাদের কর্মকান্ড দেখে মন্ত্রী ভীষণ বিস্মিত হলেন। খুবই মধুর ব্যবহার করলেন। ২০ টাকা চাঁদা দিলেন। সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন। সঙ্গে সবার হাতে এক টাকার নতুন কড়কড়ে নোট ধরিয়ে দিলেন। আমরা কী যে খুশি হয়েছিলাম কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। সে খুশি এখনো প্রাণে বাজে। কড়কড়ে নতুন টাকার কেমন মন আকুল করা গন্ধ এখনো আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, দেহমন আলোড়িত করে।
লেখক : রাজনীতিক
www.ksjleague.com