মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বেসামাল আলুর দাম

মুনাফাখোরদের লকলকে জিহ্বা থামাতে হবে

মজুতদারির কারণে বাড়ছে আলুর দাম এবং তা ইতোমধ্যে মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশে আলুর উৎপাদন এ বছর সন্তোষজনক হলেও বেশি লাভের আশায় মজুতদারদের অনেকে বিপুল পরিমাণ আলু মজুত করেছেন। কৃষি বিপণন অধিদফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশি সাদা আলুর পাইকারি পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য হওয়া উচিত ছিল ২৩ টাকা ৩০ পয়সা; অথচ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা দরে। যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কেজিতে পাইকারি বাজারেই ২০ টাকা বেশি দাম রাখা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা পর্যায়ে। ভরা মৌসুমেও প্রতি কেজি আলুর জন্য ভোক্তাকে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। এ বছর শুধু পাইকারি নয়, কৃষক পর্যায়ে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ দামে আলু বিক্রি হচ্ছে এমন একটি ডিসি রিপোর্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে। রংপুর থেকে পাঠানো ওই রিপোর্টে দাম বাড়ার দুটো কারণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় আলু কিনে মজুত করছেন। দ্বিতীয়ত, আলু কিনে হিমাগারে মজুত করায় সংরক্ষণ ব্যয় বেশি পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সামনে আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই রিপোর্টে। রংপুরের জেলা প্রশাসকের অভিমত, আলুর দাম বাড়ার পেছনে বেশকিছু বিষয় কাজ করছে। প্রথম পর্যায়ে কৃষক কিছুদিন আলু ধরে রাখায় ভরা মৌসুমেও দাম বেশি পড়ছে। তবে এখন আর কৃষকের হাতে আলু বেশি নেই। হিমাগার থেকে আলু বেরোচ্ছে। ফলে খুব দ্রুত দাম কমে যাবে। আলু নিয়ে সরকার পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তিন-চার মাস পর দাম আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাও করেছেন তিনি। আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। আলুর দাম ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে সরকারকে সব ধরনের চেষ্টা চালাতে হবে। প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নিয়ে মুনাফাখোরদের সবাইকে জিহ্বা সংবরণের উদ্যোগ নেওয়ায় ভাবা দরকার।

সর্বশেষ খবর