শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ

মুহম্মাদ আশরাফ আলী

মিথ্যুক ব্যক্তি যে ঘৃণ্য ও তুচ্ছ সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারী ও মিথ্যাবাদীকে সৎ পথে পরিচালিত হেদায়েত করেন না।’ (সুরা মোমিন, আয়াত ২৮) আবু বাকরাহ (রা.) বলেন, একদা আমরা রসুল (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহর কথা বলে দেব নাকি? এরূপ তিনবার বলার পর তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। শোনো! আর মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া ও মিথ্যা কথা বলা। তিনি হেলান দিয়ে বসে ছিলেন, কিন্তু শেষোক্ত কথাটি বলার সময় হেলান ছেড়ে উঠে বসলেন। এরপর এ কথা তিনি বারবার পুনরাবৃত্তি করতে লাগলেন। শেষাবধি আমরা বললাম, হায়, যদি তিনি চুপ হতেন। আল্লাহর রসুল (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই সত্যবাদিতা পুণ্যের প্রতি পথপ্রদর্শন করে এবং পুণ্য পথপ্রদর্শন করে বেহেশতের প্রতি। আর মানুষ সত্য বলতে থাকলে পরিশেষে সে আল্লাহর কাছে দারুণ সত্যবাদী হয়ে যায়। পক্ষান্তরে মিথ্যাবাদিতা পাপের প্রতি পথপ্রদর্শন করে এবং পাপ পথপ্রদর্শন করে দোজখের প্রতি। আর মানুষ মিথ্যা বলতে থাকলে অবশেষে সে আল্লাহর কাছে ভীষণ মিথ্যাবাদী বলে লিখিত হয়।’ মিথ্যা বলার অভ্যাস কোনো মুসলিমের হতে পারে না। তার কর্ম ও পেশা যা-ই হোক, কোনো ক্ষেত্রেই সে মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে না। আসলে মিথ্যা বলা মুনাফেকের হীনচরিত্রের একটি নিকৃষ্ট গুণ। আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, মুনাফেকের লক্ষণ তিনটি- ‘কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা দিলে খেলাপ করে এবং চুক্তি করলে ভঙ্গ করে।’ মুসলিমের এক বর্ণনায় এ কথা বেশি আছে, ‘যদিও সে ব্যক্তি নামাজ পড়ে, রোজা রাখে এবং নিজেকে মুসলিম মনে করে।’

আল্লাহর রসুল (সা.) বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে পৃথক না হওয়া পর্যন্ত (ক্রয়-বিক্রয়ে তাদের) এখতিয়ার থাকে। সুতরাং তারা যদি (ক্রয়-বিক্রয়ে) সত্য বলে এবং (পণ্যদ্রব্যের দোষ-গুণ) খুলে বলে, তাহলে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দেওয়া হয়।  

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর