শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ক্যাম্পাসে সংঘাত

কোনোভাবেই কাম্য নয়

দেশে সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উত্তেজনা, সংঘর্ষ, সংঘাত লেগেই রয়েছে। আর তা প্রধানত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যেখানে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অত্যন্ত মেধাবী ছেলেমেয়েরাই ভর্তির সুযোগ পান। যেখানে দেশের শ্র্রেষ্ঠ শিক্ষকরা পাঠদান করেন। যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক বিচারে নামমাত্র বেতনে উচ্চমান শিক্ষালাভের সুযোগ পান। যাদের শিক্ষার পেছনে সরকার বা জনগণের মোটা টাকার জোগান থাকে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, পরিবেশ, পাঠকক্ষ, পাঠাগার এমনকি ক্রীড়া এবং বিনোদনের আয়োজনও থাকে মানোত্তীর্ণ। এর সঙ্গে প্রাইভেট বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনো তুলনাই চলে না। সেখানে অনেক টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে যে সংঘাত লেগেই থাকে-তার অধিকাংশই খুব তুচ্ছ কারণে। গত সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্ত্রের মহড়া হয়। অন্য হলে অতিথি কক্ষে বসা নিয়ে মারামারি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্রী মেসের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিরোধে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ, চুয়েটে,

এ নিয়ে উত্তেজনা। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে, সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিচরণ ক্ষেত্রে এমন সব তুচ্ছ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি ও হানাহানিতে পরিবেশ নষ্ট করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাদের কাছ থেকে ধৈর্য, সংযম, শালীনতাই আশা করে দেশের মানুষ। আর শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি যে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের আদর্শ, তাদের কাছ থেকে প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কথায় কথায় সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া, অস্ত্রের মহড়া দেখতে চায় না জাতি। এতে যে ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়, এটা তাদের বুঝতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনেরও এখানে গুরুদায়িত্ব রয়েছে। দলমতের পরিচয় বিবেচনা না করে, যে কোনো রকমের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে যদি তারা কঠোর ব্যবস্থা নেন, নিজেরাও দলবৃত্তির বাইরে থাকেন-ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মর্যাদা সমুন্নত হোক সেটাই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর