শিরোনাম
শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ

আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই

আইন করে বাল্যবিয়ে ঠেকানো যাবে না। কারণ দেশে প্রায় সব ক্ষেত্রে আইন অমান্য করার প্রবণতা অপ্রতিরোধ্য। হাজারটা ফাঁকফোকর রয়েছে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার। আইন মান্য করা হচ্ছে কি না, এটা যারা পাহারা দেবেন, সে ক্ষেত্রে রয়েছে জনবল ও সক্ষমতার ঘাটতি, সদিচ্ছার অভাব এবং চরম অসাধুতা। ভূত তাড়ানোর শর্ষেতেই ভূত। ফলে কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না কোনো ক্ষেত্রেই। যেমন, দেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। তার নিচে হলে তা হবে বাল্যবিয়ে, যা নিষিদ্ধ। অথচ বাল্যবিয়ে চলছেই। গ্রামে এ প্রবণতা একটু বেশি, কিন্তু শহরও বিশেষ পিছিয়ে নেই। অভিভাবকরা কৌশলে বয়স বাড়িয়ে নিয়ে, প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অসৎ কাজির সহযোগিতায় মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন। মেয়ের বিয়ে দিয়ে তারা যেন নিজেদের ভারমুক্ত মনে করছেন। এর পেছনে কাজ করছে অভিভাবকদের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব, তাদের সামর্থ্যরে সংকট, অঞ্চলভিত্তিক কিছু সামাজিক রীতি এবং নিরাপত্তার অভাব। কন্যাসন্তান যে পরিবারের ওপর কোনো বোঝা নয়, বরং ছেলের মতোই উপার্জনক্ষম সম্পদে পরিণত হতে পারে- অভিভাবকরা যেন আজও এটা মানতে পারেন না। তাদের জানা উচিত যে, অপরিণত বয়সে একটি মেয়েকে বিয়ে দিলে, স্নেহের সেই কন্যার সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই শুধু ধ্বংস করা হয় না, কৈশোরে মা হতে গিয়ে তাকে মৃত্যুঝুঁকির দিকেও ঠেলে দেওয়া হয়। কন্যাশিশুদের এই মর্মান্তিক দুর্ভাগ্য থেকে বাঁচাতে গ্রাম-শহর সর্বত্র বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর বয়স সনদ সঠিক কি না তা যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে অসাধুতার আশ্রয় নিলে পাত্র-পাত্রীর অভিভাবক, কাজিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সমাজে কন্যাশিশুদের জীবন ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে জনপ্রতিনিধিদের। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে এলে অবশ্যই সুফল মিলবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর