শিরোনাম
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবৈধ যানবাহন

মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী

দেশের মহাসড়কগুলোতে অবাধে রাজত্ব করছে থ্রি-হুইলার, নসিমন, করিমন, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও তা তোয়াক্কা করছে না এসব স্বল্পগতির যানবাহন। যা সুস্পষ্টভাবে আদালত অবমাননার শামিল। মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ যানবাহন চালকরা সে অপরাধই করে চলছেন হাইওয়ে পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার নাকের ডগায়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সম্প্রতি দেশের কোন সড়কে কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ নির্দেশিকা রোডক্র্যাশ ও প্রতিরোধযোগ্য অকালমৃত্যু ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ নির্দেশিকার যথাযথ বাস্তবায়ন ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ১ হাজার ৪৬৪ সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৩৬৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৭৭৮ জন আহত হয়েছেন। সে হিসাবে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সড়কে। ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ১৪ দিনে সড়কে ৩৫৪ দুর্ঘটনায় অন্তত ২৭৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। সোজা হিসাবে ঈদযাত্রায় সড়কে প্রতিদিন গড়ে ১৯ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। মহাসড়কে দুর্ঘটনার পেছনে ধীরগতির যান চলাচল প্রধানত দায়ী। আমরা এ কলামে বারবার এ বিষয়ে মতামত রেখেছি। সড়ক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছেন উচ্চ আদালতও। কিন্তু পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে না হাইওয়ে পুলিশের একাংশ এবং এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক টাউটদের কারণে। তাদের ইন্ধনেই হাইওয়েতে অনায়াসে চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা অহরহ ঘটছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি, নসিমন, করিমন চালকদের সংগঠনও তাদের দাপট জিইয়ে রাখতে প্রভাব খাটাচ্ছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সড়ক শৃঙ্খলার বিষয়ে নজর দিতে হবে। বিশৃঙ্খলার হোতাদের নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর