শিরোনাম
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

কিশোর গ্যাং

দমনের চ্যালেঞ্জে সফল হতে হবে

দেশে কিশোর গ্যাং কালচার শুরু হয়েছিল সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়া এবং সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে জড়ানো কিশোরদের নিয়ে। পরে তথাকথিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এদের ব্যবহার শুরু করেন। এখন এরা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে এদের নানা অপকর্ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরা মাদক পাচার, চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই এবং সহিংসতাসহ প্রায় সব অপরাধ কাজে জড়িত। প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সঙ্গে স্বার্থ ও প্রতিপত্তির দ্বন্দ্বে মারামারি থেকে খুনোখুনি পর্যন্ত গড়ায় এদের অপরাধ। কিশোর গ্যাংয়ের খুনোখুনির এমন চিত্র এখন সারা দেশে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছে। রাজনৈতিক টাউটদের ছত্রছায়ায় নানা অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে পথভ্রষ্ট কিশোররা। সারা দেশে বিপুলসংখ্যক কিশোর গ্যাং রয়েছে। গত ১৯ বছরে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে ১২০ জনেরও বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। কেবল গত বছরই কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নিহত হয়েছেন ২৬ জন। এসব তথ্য আতঙ্কজনক। সামাজিক মূল্যবোধের কতটা অবক্ষয় হলে এটা সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়। আশার বিষয় হচ্ছে, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব। উভয় সংস্থা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক ‘বড় ভাই’দের তালিকা তৈরি করছে। তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে শুধু অপরাধী কিশোর আর তাদের ভুলপথে চালানোর তথাকথিত ‘বড় ভাই’দের তালিকা তৈরিতেই থেমে গেলে হবে না। কিশোর গ্যাং নির্মূল করতে হবে। অপরাধী কিশোরদের সুপথে ফিরিয়ে আনার পথ খুঁজতে হবে। কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে তাদের বিপথে পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে। অর্থবিত্ত, প্রতিপত্তি কিংবা রাজনীতির চাপে যদি র‌্যাব-পুলিশের প্রচেষ্টা চাপা পড়ে যায়- সেটা হবে দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর