মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকের ছায়া

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে ইরানসহ মুসলিম বিশ্বে শোকের ছায়া বিস্তার করেছে। রবিবার আজারবাইজানের সীমান্ত এলাকায় দুটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানের পূর্ব আজারবাইজানের তাবরিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তারাও ছিলেন। তাবরিজে যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে পূর্ব আজারবাইজানের ভারজাকান এবং জোলফা শহরের মধ্যে অবস্থিত ডিজমার জঙ্গলে হেলিকপ্টারটি পতিত হয়। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো যাত্রী বেঁচে নেই। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও ঘন কুয়াশা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য অভিযানস্থলে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন একসময় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন যখন ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সরাসরি সংঘাত দানা বেঁধে উঠেছে গাজায় জায়নবাদীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে কেন্দ্র করে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আরব দেশগুলোর নতজানু মনোভাবের বিপরীতে ইরানের সাহসী ভূমিকা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসা পেয়েছে। স্বভাবতই ইরানি প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু মুসলিম বিশ্বে গভীর শোক সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করব প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ইরানি জনগণ যে শোকাহত অবস্থায় পড়েছেন তা তারা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েল ও তার মুরুব্বিদের উসকানি সত্ত্বেও শান্তিবাদী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। উপসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সে নীতি তাঁর উত্তরসূরিদের দ্বারাও অনুসৃত হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর