বুধবার, ২২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যাটারিচালিত রিকশা

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রশংসনীয়

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার অটোরিকশা আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। এর ফলে লক্ষাধিক লোকের জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার কবল থেকে রক্ষা পেল। নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। ব্যাটারিচালিত যানবাহন নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিক্ষোভে নামে চালকরা। কোথাও কোথাও তারা অনভিপ্রেত ঘটনারও উদ্ভব ঘটিয়েছে। তবে বিষয়টি যেহেতু জীবন-জীবিকার, সেহেতু প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রিসভার বৈঠকে। যা বিক্ষোভ নিরসনের পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল নিম্নবিত্তদের জীবন-জীবিকার সুরক্ষাও দেবে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেওয়া নির্দেশনায় বলেছেন, বিধিমালার মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিধিমালায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দিতে হবে। মহাসড়কে কিংবা ব্যস্ত সড়কে তারা অটোরিকশা চালাতে পারবেন না। কোন কোন সড়কে চলতে পারবে, কী গতিতে তারা যেতে পারবে, সে বিষয়েও তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আইন-বিধিমালা যথাযথভাবে সংশোধনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বৈঠক শেষে বলেছেন, অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতেন না। বিষয়টি তার নজরে আনা হয়নি। বৈঠকে জীবিকার ব্যবস্থা না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যৌক্তিক কি না প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নও তুলেছেন। রাজধানীতে শর্ত সাপেক্ষে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানবাহন চালানোর যে বৈধতা দেওয়া হয়েছে তা যৌক্তিক ও প্রশংসনীয়। রাজধানীতে প্রধান সড়ক ছাড়া অলিগলি ও কম গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এ ধরনের যানবাহন চালু রয়েছে কয়েক বছর ধরে। চালকরা পুলিশের অসৎ সদস্য ও রাজনৈতিক টাউটদের চাঁদা দিয়ে যানবাহন চালানোর অনুমতি পেত। এখন তারা বৈধভাবেই নির্দিষ্ট সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানবাহন চালাতে পারবেন। প্রশিক্ষণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর