বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোংলা বন্দর

উজ্জ্বলতর হোক সম্ভাবনা

সামুদ্রিক বন্দর আর দেশের অর্থনীতি একে অন্যের অনুষঙ্গ। মোংলা দেশের অন্যতম সামুদ্রিক বন্দর। এর উন্নয়ন ও সক্ষমতা দেশের অর্থনৈতিক  উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। আশার বিষয়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। প্রকাশিত তথ্য বলছে, খুলনা মহানগরীর দক্ষিণ-পূর্বে প্রমত্তা পশুর নদীর তীরে অবস্থিত মোংলা বন্দরে কর্মযজ্ঞ চলছে এখন ২৪ ঘণ্টাই। ২২৫ মিটার দীর্ঘ পর্যন্ত জাহাজ প্রবেশ করতে পারে এ বন্দরে। নোঙরের জন্য রয়েছে খোলামেলা দীর্ঘ চ্যানেল। সেখানে একসঙ্গে অনেকগুলো জাহাজ পণ্য খালাস বা বোঝাইয়ের সুযোগ পায়। এই ইতিবাচক সুযোগ-সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর এপ্রিলে মোংলা বন্দরে ৬৩টি জাহাজ এসেছে। একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন কার্গো এবং দুই হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। এ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত দুই বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় এবারের এপ্রিলে বেশি জাহাজ আসায় রাজস্ব আয় বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোংলা বন্দরে সবকটি সূচকে সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। মোংলা বন্দর নিয়ে উজ্জ্বলতর আশার আলোও দেখা দিয়েছে। ১৯৫০ সালে চালনায় প্রতিষ্ঠিত এবং পরে মোংলায় স্থানান্তরিত এ বন্দর শুরু থেকেই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে বন্দরের দূরত্ব অনেক কমেছে। তুলনামূলক অনেক কম সময়ে পণ্য সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেলের নাব্য রক্ষা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে জাহাজের পণ্য লোড-আনলোডে গতি সঞ্চার হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আস্থা ও আগ্রহ বেড়েছে। এগুলোকে পুঁজি করে বন্দর উন্নয়নের আরও সম্ভাবনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং সর্বোপরি গতিশীল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর