রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবাসিক এলাকা

বাণিজ্যিকীকরণ রুখতে হবে

রাজধানী ঢাকা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে আবাসিক এলাকা। ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ প্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক ভবনে পরিণত করা হচ্ছে কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায়। রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরার অলিগলিতে গড়ে তোলা হচ্ছে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, অফিস, শপিং মলসহ নানা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। আবাসিক চেহারা বদলে তৈরি হয়েছে ঘিঞ্জি পরিবেশ। ১৫ বছর আগে ধানমন্ডিতে চার তলার ওপরে কোনো বাড়ি ছিল না। এখন ইচ্ছামতো উচ্চতায় দালানকোঠা তৈরি হচ্ছে। ভাড়া দেওয়া হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে। ধানমন্ডি থেকে বাণিজ্যিকীকরণের ‘ভাইরাস’ রাজধানীর অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত, গুলশান, বনানী, বারিধারায় সে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহভাবে। গুলশান, বনানীর নকশায় বাণিজ্যিক প্রয়োজনের জন্য আলাদা স্থান চিহ্নিত করা আছে। অথচ আস্তে আস্তে ঘিঞ্জিতে পরিণত হয়ে পড়েছে পরিকল্পিত নকশায় গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা গুলশান, বনানী। আবাসিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক এলাকার রূপ পেয়েছে। এজন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের। আবাসিক বাড়িঘরের পাশে শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই গড়ে উঠছে না, গড়ে তোলা হচ্ছে শিল্প-কারখানাও। আবাসিক ভবনের মাথার ওপর তরতর করে উঠছে শপিং সেন্টার। ঢাকায় প্রথম পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা ওয়ারী। ব্রিটিশ আমলে যেটি গড়ে তোলা হয়। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ঢাকা পূর্ববঙ্গের রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে। এ মর্যাদার সঙ্গে সংগতি রেখে সময়ের প্রয়োজনে গড়ে তোলা হয় ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা। পরবর্তীতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরা আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে রাজউকের উদ্যোগে। কিন্তু এসব আবাসিক এলাকার কোনোটিই তাদের ঘোষিত বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারেনি। অপরিকল্পিত নগরী হিসেবে রাজধানী ঢাকার যে বদনাম- তা বদলাতে সরকার, সিটি করপোরেশন ও রাজউককে সক্রিয় হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর