রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সংকট

সমাধানে চাই আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছেই। গত চার দশক ধরে সে দেশ থেকে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। ১৯৭৮, নব্বই দশকের প্রথমদিক এবং ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা ঢল নামে। সব মিলে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন বাংলাদেশে বসবাস করছে। কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ, ভাসানচরে রয়েছে রোহিঙ্গা শিবির। এর মধ্যে ৬ লাখই আছে কুতুপালংয়ে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির। এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থী বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা। এদের জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যে সাহায্য দেয়, প্রয়োজনের তুলনায় তা নেহাত অপ্রতুল। স্বভাবতই রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপে বাংলাদেশকে নানামুখী সমস্যা ও সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে। অথচ এদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার বরাবরই পিছুটান দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে আবার সে দেশের রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষে রোহিঙ্গারা বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নাফ নদের তীরে অবস্থান নিয়েছে। এদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং বেশকটি দেশ। বলাই বাহুল্য, রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্য কমে গেছে। এরকম রূঢ় বাস্তবতায় বাংলাদেশে আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মানবিক কারণে এদের নিয়ে ভাবতে হবে প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোকে। আর সর্বোত্তম সমাধান হচ্ছে- সব জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে বাধ্য করা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন। এজন্য জাতিসংঘ এবং বিশ্বের সব প্রভাবশালী দেশের শক্ত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর