সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিল্প খাতে সংকট

উৎপাদনবান্ধব পদক্ষেপ নিন

শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশ ও জাতি এগিয়ে যায় সামনের দিকে। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে শিল্প খাত বিশাল ভূমিকা রাখছে। কিন্তু করোনাকাল থেকে ভালো নেই শিল্প খাত। সারা দুনিয়ার মতো করোনাকালে বাংলাদেশকে অকল্পনীয় ধকল মোকাবিলা করতে হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বিশ্ব অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে তার কুপ্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশের শিল্প খাতকে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে কমেছে প্রতিটি শিল্প পণ্যের চাহিদা। ডলার সংকটে বেড়েছে কাঁচামাল ও জ্বালানি খরচ। কমেছে রপ্তানি, বেড়েছে ব্যাংক ঋণের সুদহার। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে শিল্পকারখানার উৎপাদন প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। শিল্পের উৎপাদন কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থান ও জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে। দীর্ঘমেয়াদে ডলার সংকট, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, জিনিসপত্রের উচ্চ দামের কারণে চলতি অর্থবছরেও জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে। আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৩ দশমিক ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে কৃষি খাতে; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ১৬ শতাংশ কম। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, মহামারির প্রথম বছর ২০১৯-২০ অর্থবছরেও কারখানার উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছিল। সংস্থাটি বলছে, শিল্প ও কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমলেও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়ার আলামত পাওয়া যাচ্ছে। দেশের উৎপাদন খাতের প্রাণ ৪৬ হাজারের বেশি ছোটবড় কলকারখানা।  জ্বালানি সংকটে ভুগছে এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান। মূল্যস্ফীতির কারণে শিল্পপণ্যের চাহিদা কমেছে দুনিয়াজুড়ে। ডলার সংকটে কাঁচামাল আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বিপুলভাবে। অর্থনীতিতে গতিসঞ্চারে শিল্প খাতের সংকট নিরসনে উৎপাদনবান্ধব পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো হেলাফেলা কাম্য নয়।

সর্বশেষ খবর