শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান

ঘূর্ণিঝড় রিমাল রবিবার প্রচন্ড আঘাত হেনেছে দেশের উপকূলভাগে। এর প্রভাবে ভারী ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে দেশের অভ্যন্তরভাগে। ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত অন্তত আটজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। রাত ১২টার পর জোয়ারের পানির সঙ্গে বাড়ে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুপুরেই জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় উপকূলীয় জেলাগুলোর নিচু এলাকা। এবারও ঘূর্ণিঝড়ের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন। রিমালের সঙ্গে টানা দুই ঘণ্টার বেশি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ম্যানগ্রোভ বনের লাখো গাছ। সুন্দরবনের দুবলা, কটকা, কোচিখালি ও হিরণ পয়েন্ট এলাকা ৭ থেকে ৮ ফুট পানির নিচে ডুবে যায়। বন কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণীদের মিঠাপানির উৎস পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসের লোনাজলে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের গাছপালারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঘ-হরিণসহ বিশ্ব ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ এই বাদাবনের বন্যপ্রাণিকুলের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুন্দরবনের বাইরেও কয়েক লাখ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে। রিমালের প্রলয়ংকরী আঘাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলভাগের কৃষক। মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় ঘের মালিকদের সমূহ সর্বনাশ ঘটেছে। আমরা আশা করব ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রশাসন সহায়তার হাত নিয়ে দাঁড়াবে। সমাজের অবস্থাপন্নরাও দুঃখী মানুষের কষ্ট নিবারণে ভূমিকা রাখবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর