মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

এডিস মশার আগ্রাসন

দায়ী সঠিক সিদ্ধান্তের অভাব

গত বছর রেকর্ড পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ঘাতক ব্যাধি ডেঙ্গুতে। প্রাণ হারানোর সংখ্যাও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ বছর তা আরও আগ্রাসি আকার ধারণ করতে পারে এমন আভাস ইতোমধ্যে মিলেছে। চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুর থাবায় মারা গেছেন ৩৩ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৪৫ জন। গত বছর এ সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬২০ জন, মারা গিয়েছিলেন ১৩ জন। গতবারের তুলনায় এরই মধ্যে আড়াই গুণের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর দেশে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ইনজেকশনযোগ্য স্যালাইনের অভাবে পরিস্থিতি ভয়াল হয়ে ওঠে। এ বছর যাতে ফের স্যালাইন সংকট না হয় সেজন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বৈঠক করেছে। ওষুধটির স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতালে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। স্মর্তব্য, ২০০০ সালে দেশে প্রথম ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সে বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন আক্রান্ত এবং ৯৩ জন প্রাণ হারান। এরপর ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সে সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখেরও বেশি। প্রাণ হারান ১৭৯ জন। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের ২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন ও মারা যান। ডেঙ্গুর আগ্রাসন বর্ষা শেষে কমে গেলেই এডিসের লার্ভা নিধনের কার্যক্রম থেমে যায়। সে সময় যে লার্ভা সুপ্ত অবস্থায় থাকে পরবর্তীতে বৃষ্টি বা অন্য কোনো পানি পেলেই সেগুলো জেগে ওঠে। শুষ্ক মৌসুমে কীটনাশক ব্যবহার করে লার্ভা নিধন কার্যক্রম জোরদারভাবে চালানো হলে পরবর্তী বছরে ডেঙ্গুর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর