রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়া কেলেঙ্কারি

৩১ হাজার কর্মীকে ক্ষতিপূরণ দিন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া বাংলাদেশসহ ১৪টি ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে শ্রমিক নেওয়া স্থগিত করেছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে আবারও বন্ধ হয়ে গেল বিদেশে চাকরিপ্রত্যাশী বাংলাদেশিদের পছন্দের একটি দেশে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা। বন্ধের আগে ভিসা পেয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ৩১ হাজার বাংলাদেশি বিমানের টিকিট না পাওয়ার কারণে। গড়ে ৬ লাখ কিংবা তার চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করে যারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন তারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন সীমাহীন হতাশায়। মালয়েশিয়া সরকার বলেছিল- ৩১ মে রাত ১২টার আগে যারা ফ্লাইটে উঠবেন, কেবল তারা সে দেশে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ৩১ মে শুক্রবার ভিসা পাওয়া হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে ভিড় করেন শেষ মুহূর্তে কোনো উপায় মেলে কি না। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বাড়তি টাকা নিয়েও টিকিট না দেওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। শেষ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইটের আয়োজন করা হয়। তারপরও ৩১ হাজার ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীকে পাঠানো যায়নি। ঋণ করে টাকা দিয়ে নিঃস্ব এসব কর্মী হাহাকার করেছেন বিমানবন্দরে। গত দেড় বছরে প্রায় ৫ লাখ কর্মী যাওয়া মালয়েশিয়ার পথ বন্ধ হওয়ায় বড় ধাক্কা খেল বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে নানা প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হয়। এরপর মালয়েশিয়ার চাহিদা অনুযায়ী প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। গত মার্চে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত আর শ্রমিক নেওয়া হবে না। আর অনুমোদন ও ভিসা পাওয়া কর্মীদের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে। কিন্তু এজেন্সিগুলো সময়মতো মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা না করায় লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনুমোদনপ্রাপ্ত ৪ লাখ ৯৪ হাজার ১০২ জন মালয়েশিয়ায় যেতে পারলেও প্রায় ৩১ হাজার কর্মী লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেও বঞ্চিত হন কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ থেকে। আমরা চাই বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর