শিরোনাম
সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়াকাণ্ড

হতভাগ্য কর্মীদের সমস্যার সুরাহা করুন

মালয়েশিয়ার ভিসা পেয়েও বিমানের টিকিট না পেয়ে যারা যেতে পারেননি তাদের সমস্যার সমাধানে সরকার সবকিছু করার আশ্বাস দিয়েছে। এসব কর্মীর সবাই লাখ লাখ টাকা খরচ করেছেন ভিসা ও বিমানের টিকিট পাওয়ার জন্য। এমনকি দুই তিনগুণ বাড়তি ভাড়াও দিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সময়মতো বিমানের টিকিট পাওয়ার জন্য। সরকারেরও নজর ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া যাতে কোনোভাবে বিঘিœত না হয়। বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য চার বছর বন্ধ ছিল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সরকারের নানামুখী চেষ্টায় সে বাজার আবার উন্মোচিত হয়। ৫ লাখেরও বেশি কর্মী নিতে আগ্রহ দেখায় মালয়েশিয়া। শুরু হয় ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া। সময়মতো ভিসাপ্রাপ্তরা যাতে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন সে জন্য বিশেষ ফ্লাইটের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য, রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের হয়নি সে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বায়রা সে তালিকা দিতে পারেনি। পরে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। মালয়েশিয়া সরকারকেও সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সে চিঠির উত্তর এখনো আসেনি। এ সমস্যা সমাধানে হাইকমিশন ও মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যারা হয়রানি করেছে তাদের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ কর্মী। যে ৫ লাখেরও বেশি কর্মী ভিসা পেয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক কর্মী যেতে পারেননি বিমানের ফ্লাইটের অভাবে।  ইতোমধ্যে দুঃখ-ক্ষোভে যেতে না পারা একজন কর্মী আত্মহত্যার চেষ্টায় মেঘনা রেলসেতু অতিক্রমের সময় ট্রেন থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। যা সারা দেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করব, ভিসা না পাওয়া কর্মীদের মালয়েশিয়া যাওয়ার মেয়াদ বাড়াতে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হবে। পাশাপাশি মালয়েশিয়াকান্ডের দায় কাদের ওপর বর্তায় তা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা ও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

সর্বশেষ খবর