সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঝড়ের তাণ্ডব

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে

চলতি গ্রীষ্মকাল এক অর্থে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। কদিন আগেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে দেশের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা। সে ক্ষত শুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘুরে দাঁড়াতে অনেক দিন লাগবে। এরই মধ্যে শনিবার ভারী বৃষ্টি আর তুমুল ঝড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের অন্তত ২০টি গ্রামের ঘরবাড়ি-গাছপালা তছনছ হয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে শিশুসহ তিনজনের। সাধারণত দেখা যায়, বর্ষা আসার আগে এপ্রিল থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। বজ্রবৃষ্টি থাকে তার সঙ্গে। ঠাকুরগাঁওয়ের ঝড়টা তেমনই একটা হঠাৎ ঘূর্ণির আঘাত। এমন আরও বিচ্ছিন্ন ঝড়-বাদল যে কোনো সময় দেশের যে কোনো স্থানেই হতে পারে। এত সীমিত পর্যায়ে আগাম পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতা সংকেত দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আবহাওয়া দফতরের আছে কি না সন্দেহ। আবার আকস্মিক কালবৈশাখি বা ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো মজবুত ঘরবাড়ি, অবকাঠামো দেশের অনেক মানুষেরই নেই। ফলে রুদ্র প্রকৃতির সামনে তারা প্রকৃতই অসহায়। অথচ যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা তাদের জন্য অপূরণীয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য-পানীয় ও চিকিৎসা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য শুধু সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না- গোটা সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমেই এ দায়িত্ব নিতে হবে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের। তারাই সংগঠিত করবেন স্থানীয় বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে, যোগাযোগ করবেন প্রশাসনের  সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আক্রান্তদের সাহায্য ও সেবায় সমন্বিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সবার সক্রিয় অংশগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা যেন দ্রুত চিকিৎসা ও জরুরি ত্রাণ সহায়তা পান, মাথা গোঁজার ন্যূনতম ঠাঁই পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আকস্মিক দুর্যোগ বিপর্যয় মোকাবিলায় কার্যকর সামাজিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। সেটাই হবে দুঃসময়ের নিকটতম সহায়।

সর্বশেষ খবর