বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

জিনিসের দাম বেড়েছে

কমেছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা

জিনিসের দাম বেড়েছে মানুষের দাম কমেছে-এটি অমর গায়ক কিশোর কুমারের একটি সাড়া জাগানো গান। মানুষকে বিনোদনের জন্য কিশোর তার সুরারোপিত ওই গানটি গেয়ে বাজার মাত করেছিলেন। একজন গায়কের গানে বিনোদন প্রাধান্য পাবে এমনটিই স্বাভাবিক। কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার তার গানে বিনোদনের পাশাপাশি জীবন জিজ্ঞাসা এবং অর্থনীতি বিশ্লেষণের যে পরম সত্যটি উত্থাপন করেছেন তার কোনো তুলনা নেই। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশ। পাঁচ দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশের একটি। চলতি দশকেই বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মতো সমৃদ্ধ দেশের চেয়েও আকারে বড় অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এই মহাঅর্জনের সিংহভাগ অর্জিত হয়েছে গত দেড় দশকে। কিন্তু সে সুফল আমজনতার ভাগে পড়ছে না মূল্যস্ফীতির কারণে। সোজা কথায় সব নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে অস্বস্তিকরভাবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের হিসাবে মে মাসে খাদ্যের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তার আগের এপ্রিল মাসে যা ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ ভাগের কাছাকাছি। গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এ সময় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশের বেশি। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাতে কোনো সুফল আসেনি। নিত্যপণ্যের দাম কমার বদলে যা দেশের অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা হয়, মূল্যস্ফীতি ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্তরা সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়ে। গত দুই বছর ধরে চলা এ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনযাপনে। মূল্যস্ফীতি সরকারের গ্রহণযোগ্যতার জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে। স্থিতিশীলতার জন্যও সৃষ্টি হচ্ছে চ্যালেঞ্জ। যা মোকাবিলায় সরকার লড়াকু মনোভাব নিয়ে সচেষ্ট হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর